রাতের শহরের নিরাপত্তা এবং পুলিশি ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। ফাইল ছবি।
রাতের শহরের নিরাপত্তা এবং পুলিশি ব্যবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি থানায় গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা ও যান চলাচল-সহ একাধিক বিষয়ে পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখেন নগরপাল।
লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ট্র্যাফিক পুলিশের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় থানাগুলি। সেই কাজ ঠিক মতো চলছে কি না, তা দেখতে রাত ১১টা নাগাদ লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবন থেকে বেরোন নগরপাল। প্রথমে যান পার্ক সার্কাসে। সেখান থেকে গড়িয়াহাট থানা হয়ে তিলজলা, ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর এবং ভবানীপুর থানায় যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা। থানাগুলিতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন নগরপাল।
সম্প্রতি সাত বছরের একটি শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল তিলজলা থানা এলাকা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। নগরপাল সেই তিলজলা থানাতেও যান। সেখান থেকে যান ওয়াটগঞ্জ থানায়। ওই থানা এলাকায় কয়েক দিন আগেই নির্মীয়মাণ একটি বহুতল থেকে লোহার রড মাথায় পড়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। সেই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আধিকারিকদের কাছে খোঁজ নেন তিনি। এর পরে যান একবালপুর থানায়। উল্লেখ্য, মাস ছয়েক আগে ওই এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। তার পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন আছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেন নগরপাল। পরে তিনি যান ভবানীপুর থানায়। ওই থানা এলাকায় জোড়া খুনের একটি ঘটনায় এক অভিযুক্ত পলাতক। সেই তদন্ত নিয়েও কথা বলেন বিনীত।
গত বছর এক আগন্তুক সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা অগ্রাহ্য করে পৌঁছে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে। সেই ঘটনায় খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেখানকার নিরাপত্তা বলয়কে আরও কঠোর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের প্রতি রাতে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে নগরপাল নিজে সেই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন বলে লালবাজার সূত্রের দাবি। পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, এর আগেও নগরপাল রাতের শহরের নিরাপত্তা দেখতে পথে নেমেছিলেন। তিনি নিজে শহরের নিরাপত্তা পরিদর্শনে বেরোলে বাহিনীর নিচুতলা থেকে সব স্তরের পুলিশকর্মীরা সজাগ থাকেন নিজেদের কাজ নিয়ে। এতে আমজনতার লাভ বলেই পুলিশ আধিকারিকদের মত।