বুধবার কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল চিংড়িঘাটা পরিদর্শন করে এবং মেট্রোর কাজ শুরুর করার অনুমতি দেন। ফাইল ছবি।
মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণের জন্য গত চার দিন ধরে ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। চিংড়িঘাটা মোড়ের যে অংশ আটকে রেখে স্তম্ভ নির্মাণ হবে, বুধবার কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল সেই জায়গাটি পরিদর্শন করেন। রাস্তার প্রায় ৬৪ বর্গমিটার অংশ আটকে রাখার ফলে যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখেন তিনি। সূত্রের খবর, সব খতিয়ে দেখে নগরপাল মৌখিক ভাবে মেট্রো রেলকে ওই কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।
নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর জন্য চিংড়িঘাটা মোড়ে উত্তর-দক্ষিণ রাস্তার মাঝখানে ৩১৮ নম্বর স্তম্ভ তৈরি হবে। মেট্রো রেল ওই রাস্তার দু’দিক চওড়া করেছে আগেই। দু’দিকে তৈরি হয়েছে ফুটপাত। সল্টলেকের দিকের খালের উপরে বানানো হয়েছে সেতু। রাস্তার মাঝখানে ৬৪ বর্গমিটার অংশ আটকে ওই স্তম্ভ হবে। এর জেরে দু’দিকের রাস্তার অংশ ঘিরে শনিবার থেকে যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, নগরপাল চলে যাওয়ার পরে এ দিন দুপুর থেকেই মেট্রো রেল ওই অংশটি ঘেরা শুরু করেছে। ওই স্তম্ভের আগে রাস্তার পাশে আরও একটি স্তম্ভ (৩১৯ নম্বর) তৈরির কথা রয়েছে। মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা, ‘রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড’ (আরভিএনএল) চিংড়িঘাটা মোড়ের মাঝে ৩১৮ নম্বর স্তম্ভ নির্মাণের জন্য পুলিশের কাছে ৪৫ দিন সময় চেয়েছে। সেই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মেট্রো।
যানজট এড়াতে চিংড়িঘাটা মোড়ের সংযোগকারী রাস্তা ক্যানাল সাউথ রোড এবং চাউলপট্টি রোড একমুখী করা হয়েছে। চাউলপট্টি রোড দিয়ে সব গাড়ি চিংড়িঘাটা মোড়ের দিকে ও ক্যানাল সাউথ রোড দিয়ে চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ট্যাংরার দিকে গাড়ি চলছে।
মহড়া চলাকালীন যানজট তেমন তীব্র আকার না নিলেও ট্র্যাফিক পুলিশ জানাচ্ছে, ওই মোড়ের এক দিকের রাস্তা অন্য অংশের তুলনায় সরু। তাই চিংড়িঘাটা মোড় সংলগ্ন বাইপাস ও নিকো পার্কের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা থাকছেই।