নতুন সাজে সাজবে কলকাতা পুরভবন।
নানাবিধ কাজে আসা নাগরিকদের সুবিধার্থে কলকাতা পুরসভার একাধিক পরিষেবামূলক দফতরকে সরিয়ে ভবনের দোতলায় আনার পরিকল্পনা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানে মেয়রের ঘরে পাশেই বসবেন মেয়র পারিষদেরা। এ ছাড়া পুরসভা থেকে অবাঞ্ছিত ফাইল, পুরনো আসবাব থেকে বস্তা— সবই সরিয়ে ফেলা হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ‘‘অতিরিক্ত ভার কমাতেই পুর ভবন থেকে অবাঞ্ছিত সামগ্রী সরানো হবে। এতে পুর ভবনের আয়ুও বাড়বে।’’
এখন দোতলায় মেয়রের ঘরের কাছাকাছি বসেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার ও তারক সিংহ। বাকি সাত মেয়র পারিষদের অফিস রয়েছে তিন ও পাঁচতলায়। আগামী দিনে সেই সমস্ত ঘর দোতলায় নামিয়ে আনা হবে। এ জন্য সম্প্রতি কমিশনার এবং পুরসভার সিভিল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা দোতলার বিভিন্ন দফতর ঘুরে দেখেন। সেখানে সচিবালয় দফতর, চিফ ম্যানেজার (রেভিনিউ)-দের অফিসগুলি অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। কী ভাবে সেই জায়গায় সাত মেয়র পারিষদের অফিসঘর নির্মাণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু মেয়র পারিষদদের অফিসই নয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে পাঁচতলায় থাকা অ্যাসেসমেন্ট কালেকশন দফতরটিও ভবনের দোতলায় বা রক্সি ভবনে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মেয়র বলেন, ‘‘রক্সি প্রেক্ষাগৃহটি এখনও পুরসভার পুরোপুরি অধিগ্রহণে আসেনি, আদালতে মামলা চলছে। পুরসভার আওতায় ওই ভবন চলে এলে পুর ভবন থেকে সেখানে যাওয়ার একটা রাস্তা করা হবে। রক্সির নীচে একটি সেমিনারকক্ষ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। নাগরিক পরিষেবার কাজে লাগে, এমন একাধিক দফতর রক্সি ভবনে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’
তবে পুরসভার কোষাগারের অবস্থা যখন সঙ্গিন, তখন পুর ভবনের খোলনলচে পাল্টানোর এই পরিকল্পনা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে পুর অন্দরে জোর চর্চা চলছে। কারণ, সম্প্রতি পুরভোটের পরেই তিনতলায় মেয়র পারিষদদের অফিসঘরগুলি কয়েক লক্ষ টাকা খরচে সংস্কার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পুরসভার আর্থিক সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই কাজে হাত দেওয়া হবে। সব কিছুই ভাবনার স্তরে রয়েছে। সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দু’-তিন বছর সময় লাগবে।’’