বেহালা পূর্ব ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এখন সেখানকার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
বেহালা পূর্ব ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এখন সেখানকার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। এর পরেও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার থেকে গিয়েছিলেন শোভন। কিন্তু মঙ্গলবারের ফল বলে দিল, শোভনের কানন দখলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করে ফেললেন রত্না।
সংসার ও বিবাহিত স্ত্রী রত্নাকে ছেড়ে বান্ধবী বৈশাখীর সঙ্গে থাকতে শুরু করার পরে বেহালাও ছেড়ে যান শোভন। কিন্তু বেহালা পূর্বের দখল রাখে তৃণমূল। জিতিয়ে আনে রত্নাকে। অন্য দিকে, বিজেপি শোভনকে প্রার্থী করতেই রাজি হয়নি। তাতে গেরুয়া রাজনীতি থেকেও ভোটের আগেই দূরে চলে যান শোভন। এত দিন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড তবু তাঁর নামে ছিল। কিন্তু এ বার সেটাও ছিনিয়ে নিতে বিধায়ক রত্নাকেই প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার মতো পুরভোটেও রত্নায় ভরসা রেখেছিলেন দলনেত্রী। পর পর দু’বার সেই ভরসার সম্মান রাখলেন রত্না।
শোভন-রত্না বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা থেকে নানা সময়ে মনোমালিন্যে তৃণমূল সমান্তরাল দূরত্ব বজায় রেখেছে। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে সব সময়েই রত্নার দিকে থেকেছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব আসনে রত্নাকে প্রার্থী করে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এ বার পুরভোটেও রত্নার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল। কলকাতা পুরভোটে শাসক তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় সে অর্থে রত্নার নাম তাই অপ্রত্যাশিত ছিল না।
শোভন অবশ্য বরাবর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে লড়েননি। ১৯৮৫ সালে শোভন কাউন্সিলর হিসেবে প্রথম জেতেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। পরপর পাঁচবার ওই ওয়ার্ড থেকে জেতেন তিনি। কিন্তু ওই ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়ায় ২০১০ সালে তাঁকে প্রার্থী হতে হয় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডেই শোভনের বাড়ি। যদিও সেই বাড়িতে বর্তমানে থাকেন না তিনি। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরপর দু’বার জিতে কলকাতার মহানাগরিক হন তিনি। ভোটের আগেই রত্না বলেছিলেন, ‘‘এই ওয়ার্ডের কোথাও এখন আর শোভনবাবুর নামগন্ধ নেই।’’ ভোটের ফলাফলও সেটাই বলল।