গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সে দিন চোখের সামনে দেখলাম পিচ ভেঙে দিয়ে চলে গেল। এক বার বৃষ্টি হতেই পিচ ধুয়ে মুছে সাফ। সরকারকে আরও কড়া হতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সংস্থা এই কাজ করছে তাদের থেকে টাকা নিয়ে জমা রাখা উচিত। কাজ খারাপ হলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
মানুষের মধ্যে একটা প্রবণতা রয়েছে, যেখানে ‘না’ লেখা থাকবে, সেখানে গিয়েই মূত্রত্যাগ করবে বা নোংরা ফেলবে। এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। মানুষকে সচেতন হতে হবে। রাস্তায় সব্জির খোসা, মাছের আঁশ, ফলের বীজ ফেলে যায় অনেকে। এদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। নিজেরাই যদি নোংরা করে তা হলে সরকার কী করবে?
পানীয় জল নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই বলেই আমার মনে হয়। কলকাতার প্রায় সমস্ত এলাকাতেই এখন জল পাওয়া যায় বলেই জানি। তবে কোনও জায়গায় যদি সেই সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে অবশ্যই সেখানে পানীয় জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা উচিত। পরিস্রুত জল সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়া প্রয়োজন।
কলকাতা অনেক পুরনো শহর। ৩০০ বছর পার করেছে। এর নিকাশি ব্যবস্থা পুরোপুরি পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়। প্রচুর টাকার ব্যাপার। তবে মানুষ যদি সচেতন হয় তা হলেই কয়েকটা সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায়। রাস্তাঘাটে প্লাস্টিক না ফেললেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। সরকারের উপর সব দোষ না চাপিয়ে নিজেদের কিছু দায়িত্ব নেওয়া প্রয়োজন।
কলকাতার আলোর ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। অলিগলিতে প্রচুর আলো লাগানো হয়েছে। কিন্তু আমার পাড়াতেই সে দিন কে একটা বাল্ব চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এমনটা হলে মুশকিল। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। নিজেদের আরও সতর্ক হতে হবে। তা হলেই আলোর সমস্যা মিটতে পারে।
আমি চাই কলকাতার বাতাসে দূষণ কমুক। তার জন্য আরও গাছ লাগানো প্রয়োজন। সরকার কিছু লাগাবে, সেই সঙ্গে বাড়িতেও গাছ লাগানো যেতে পারে। যত বেশি গাছ লাগাতে পারব, তত কলকাতাকে সাজিয়ে তুলতে পারব। আর চাই, রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে দেওয়াটা কমুক। অন্য পাড়া থেকে এসে গাড়ি রেখে চলে গেলে খুব সমস্যা হয়।
(সংকলক: শান্তনু ঘোষ)