অপরিচ্ছন্ন: এমনই বেহাল দশা রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি গণশৌচালয়ের। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
কলকাতার গণশৌচালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেশির ভাগ গণশৌচালয় ব্যবহারের অনুপযুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে প্রায়ই। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ একেবারেই নেই। কোথাও শৌচালয়ের দরজা ভাঙা, কোথাও আবার শৌচালয় পোকামাকড়ে ভর্তি। যেটুকু পরিকাঠামো রয়েছে, তা-ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পৌঁছেছে শোচনীয় অবস্থায়। অভিযোগ, উপযুক্ত গণশৌচাগারের অভাবে সবচেয়ে বেশি হয়রানি হয় পথে বেরোনো মহিলাদের। পুরভোটের আগে বার বারই আলোচনায় এসেছে নাগরিক পরিষেবার অপ্রতুলতার এই দিকটি। অভিযোগ পৌঁছেছে মেয়রের কাছেও।
কলকাতা পুরভোটের আগে ইস্তেহারে ‘নাগরিকবান্ধব কলকাতা’ গড়ার অঙ্গীকার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘কলকাতার ১০ দিগন্ত’ নামক ওই ইস্তেহারে প্রতি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয় তৈরির কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে নবগঠিত পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠিয়েছে পুরসভার বস্তি বিভাগ। মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার রবিবার বলেন, ‘‘ফাঁকা জায়গা খুঁজতে ১৪৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। জায়গা পেলেই আমরা মহিলাদের জন্য শৌচালয় তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করব।’’ এর পাশাপাশি, কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে গণশৌচালয়গুলিতে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে চায় নবগঠিত পুরবোর্ড। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে প্রায় সাড়ে চারশোটি গণশৌচালয় রয়েছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদকে নির্দেশ দিয়েছেন, গণশৌচালয়গুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি কাজে গাফিলতি করলে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। পুরসভার আর্থিক সহায়তায় শৌচালয়গুলি নির্মিত হলেও সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে রয়েছে। গণশৌচালয়গুলির পরিচ্ছন্নতা ফেরাতে সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘গণশৌচালয়গুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠতে থাকায় আমরা সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। এ বার থেকে শৌচালয়গুলির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ পেলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’’