ফাইল চিত্র।
পুর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আকছার নানা অভিযোগ ওঠে। একাধিক ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের তরফে তার কোনও সদুত্তর মেলে না। এই পরিস্থিতিতে গত পাঁচ বছরে (২০১৫-’২০ সাল) নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে কী কী কাজ করেছে পুর স্বাস্থ্য দফতর, তা বই আকারে প্রকাশ করতে চায় কলকাতা পুরসভা। ওই বইয়ে করোনা সংক্রমণের সময়ে পুর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মসূচিও বিস্তারিত ভাবে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ অতিমারির সময়ে পুর স্বাস্থ্য দফতর ‘উল্লেখযোগ্য’ কাজ করেছে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। তাই সেটাই জনসমক্ষে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে ভোটের আগে পুরসভার বই প্রকাশের এই পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের বক্তব্য, ভোটের আগের সময়কে বই প্রকাশের জন্য বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ‘রাজনৈতিক’ কারণ। এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘বই প্রকাশের জন্য সরকারি অর্থ খরচ করা হবে রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের জন্য।’’ এক চিকিৎসকের বক্তব্য, ‘‘যে টাকায় বই ছাপানো হবে, তা স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে খরচ করা হলে ভাল হত।’’
তবে পুর কর্তৃপক্ষের মতে, এর মধ্যে কোনও ‘রাজনৈতিক’ অভিসন্ধি খোঁজা অর্থহীন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই বই ছাপানোর পরিকল্পনা অনেক আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা যায়নি। পুরকর্তাদের একাংশের আরও বক্তব্য, এ বারই যে প্রথম বার এই বই প্রকাশ করা হচ্ছে, তা নয়। ২০১০-২০১৫ সাল সময়সীমায় পুর স্বাস্থ্য দফতরের ‘সাফল্য’ নিয়েও বই প্রকাশ করা হয়েছিল। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘নাগরিকদের সুবিধার্থেই সমস্ত তথ্য বইয়ের মাধ্যমে নথিভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’