—ফাইল চিত্র।
সংক্রামক রোগের পুর তালিকায় এ বার যুক্ত হল কোভিড ১৯-ও। সম্প্রতি প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর। সংযোজিত হওয়ার কারণ হিসেবে পুরকর্তাদের একাংশের ব্যাখ্যা, কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলে কোয়রান্টিনে যাওয়া বাধ্যতামূলক। ইতিমধ্যেই অনেক পুরকর্মীর ক্ষেত্রে তা ঘটেছে। ফলে এ বার থেকে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে তাঁর ছুটি ‘কোয়রান্টিন লিভ’ হিসেবেই গণ্য করা হবে।
পুরসভার প্রবীণ কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুর আইনে বরাবরই ‘কোয়রান্টিন লিভ’-এর একটা ‘প্রভিশন’ ছিল। তবে সেই ‘লিভ’ নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে বলে মনে করা যাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ‘কোয়রান্টিন লিভ’-এর বিষয়টি আলাদা মাত্রা পেয়েছে। তাই নতুন করে সামনে এসেছে এই বিষয়টি। পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানকার সার্ভিস রেগুলেশনের (খসড়া) ১৪৩ নম্বর ধারার (২)(বি)(আই) উপধারা অনুযায়ী কোভিড ১৯-কে অন্য সংক্রমিত রোগের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে কেউ আক্রান্ত হলে তিনি কোয়রান্টিন লিভ পান। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কোয়রান্টিন লিভ কত দিনের হবে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারা অনুযায়ী সেটা ঠিক করা হবে।’’
যখন থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার, তখন থেকে এই ‘লিভ’-এর হিসেব করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। অর্থাৎ যে সব পুরকর্মীকে ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হওয়ার কারণে ছুটি নিতে হয়েছে, তাঁদের সকলের ছুটিই ‘কোয়রান্টিন লিভ’ হিসেবে ধরা হবে। এমনিতে পুরসভার অনেক কর্মী শুধু সংক্রমিতই হননি, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। ফলে এ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক রয়েছে পুর প্রশাসনের অন্দরে।
আরও পড়ুন: বেজিংকে বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর, বায়ুসেনায় রাফালের যোগ, চুপ প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর
আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন, সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে ফাঁক থাকাতেই সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোভিড ১৯-কে সংক্রামক রোগের তালিকায় যুক্ত করা নিঃসন্দেহে ভাল সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংক্রমণ কত দিন থাকবে বা মরসুমি রোগের মতো থেকে যাবে কি না, সেটা আমরা কেউই জানি না। সে ক্ষেত্রে কোয়রান্টিন লিভের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন ছিল।’’