ভিড় নিয়ন্ত্রণই প্রধান লক্ষ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের।— ফাইল চিত্র
রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পর সমাধানসূত্র মিললে মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। সে ক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণের উপরেই সব থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ আগামী কাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে পারেন। মনে করা হচ্ছে, নিউ নর্মালে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় মেট্রোর চাকা গড়াতে পারে। পরিষেবা চালু হলেও, প্রতি দিন পরিস্থিতি বুঝে মেট্রোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
মেট্রো সূত্রে খবর, টোকেন ইস্যু করা হবে না। নতুন করে স্মার্ট কার্ডও দেওয়া হবে না। অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে স্মার্টকার্ড। করোনার কথা মাথায় রেখে এমনই চিন্তাভাবনা রয়েছে মেট্রো কর্তাদের। স্টেশনে যাতে ভিড় না হয়, যাত্রীরা যাতে বিধি মেনে চলেন, সে কারণে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য চাইতে পারে মেট্রো। স্টেশনে আরপিএফ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে। স্টেশনের বাইরে থাকে কলকাতা পুলিশ। নতুন করে মেট্রো চালু হলে, ভিড় নিয়ন্ত্রণই সব থেকে চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
যাত্রী এবং মেট্রো কর্মীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ব্যবহারে যাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া হবে। মেট্রোর ভিতরে দু’টি আসনের মধ্যে দূরত্ব রাখা হবে। সে ভাবে চিহ্নিতও করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের বৈঠকে কন্টেনমেন্ট জোন এলাকার স্টেশনে মেট্রো দাঁড়াবে কি না, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। প্রতি দিন গড়ে ৭ লক্ষ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত। কিন্তু এ বার মেট্রোর সংখ্যও নিয়ন্ত্রিত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদী শীর্ষ নেতা গণপতি? পুলিশ মহলে জোরদার জল্পনা
কেন্দ্রীয় সরকার ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো চলাচলে অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই নতুন করে পরিষেবা চালু করতে চান কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো পরিষেবা শুরুর বিষয়ে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: লগ্নির শুভলগ্ন এল ইস্টবেঙ্গলে, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর