ফাইল চিত্র।
মেট্রো রেলে নন-এসি রেকের ছোটা বন্ধ হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। কিন্তু, আনুষ্ঠানিক ভাবে নন-এসি রেককে বিদায় জানানো হবে কাল, রবিবার। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে দিনভর হবে অনুষ্ঠান। দেশের প্রথম মেট্রো হিসাবে কলকাতা মেট্রোর নির্মাণ-পর্ব নানা উত্থান-পতনে ভরা। টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত পরিষেবা চালু করতে সময় লেগেছে প্রায় ২৩ বছর। এই শহরে যাত্রী নিয়ে মেট্রো প্রথম ছুটেছিল ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর, এসপ্লানেড থেকে ভবানীপুর (এখন নেতাজি ভবন)। ভূগর্ভে ট্রেন চালানোর আগে পার্ক স্ট্রিটে মেট্রোর সুড়ঙ্গের ছাদের একাংশ ফাঁকা রাখা হয়েছিল ক্রেন দিয়ে রেকের কামরা নীচে নামানোর জন্য। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে যে সংস্থা, তাদের তত্ত্বাবধানেই হয়েছিল সেই কাজ।
কিন্তু পরিষেবা শুরুর কয়েক মাস আগে বৃষ্টিতে এসপ্লানেড থেকে পার্ক স্ট্রিটের মধ্যে সুড়ঙ্গে জল ঢুকে আসে। ডুবে যায় রেকও। জল বার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কয়েক মাস গড়িয়ে যায়। শুরুর দিকে মেট্রোয় চার কোচের ট্রেন চলত। প্রথম দিন এসপ্লানেড থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত মেট্রো চালিয়েছিলেন সঞ্জয় শীল এবং তপন নাথ। রাঁচীতে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেডের কারখানায় তৈরি হয়েছিল ওই রেক। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় একাই পরিষেবা দিয়েছে সেগুলি। পরে কর্নাটকের নিউ গভর্নমেন্ট ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরির তৈরি নন-এসি রেক ছুটেছে কলকাতায়। সব মিলিয়ে মেট্রোর সংগ্রহে রয়েছে ১৮টি সাধারণ রেক। ৩৭ বছরের এমনই সব গল্প শোনা যাবে বিদায়বেলার অনুষ্ঠানে।