প্রতীকী ছবি।
বছর দুয়েক আগে ময়দান স্টেশনে মেট্রোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বড় ধরনের বিপত্তি ঘটেছিল। তার পরেও একাধিক ক্ষেত্রে মেট্রোয় আগুন লাগার পাশাপাশি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা সামলাতে, বিশেষত ধোঁয়া এবং গ্যাসের মোকাবিলায় বিশেষ ধরনের মাস্ক এবং হেলমেট কিনলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো সূত্রের খবর, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে অনেক সময়েই তীব্র ধোঁয়ার জন্য আগুনের উৎসে পৌঁছতে সমস্যা হয়। তেমন পরিস্থিতির কথা ভেবে ১০০টি বিশেষ মাস্ক এবং সমসংখ্যক হেলমেট কেনা হয়েছে।
সুড়ঙ্গে, মেট্রো স্টেশনে বা কোনও বদ্ধ জায়গায় আগুন লাগলে এই সরঞ্জাম আগুনের উৎসে পৌঁছে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ সাহায্য করবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, এর ফলে যাত্রীদের উদ্ধার করাও সহজ হবে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, কামরার নীচে বা অন্য কোনও সঙ্কীর্ণ পরিসরে আগুন লাগলে আলো বসানো এই হেলমেট বিশেষ কাজে আসবে। ধোঁয়ায় মিশে থাকা বিভিন্ন গ্যাস থেকে সুরক্ষা দেবে নতুন মাস্ক। এ ছাড়া বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন এবং ট্রেনের কামরায় ব্যবহারের জন্য ৫০০টি অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্র কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
দু’বছর আগে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষে ময়দান স্টেশনে একটি এসি রেকের নীচে থার্ড রেল থেকে আগুন লাগে। চরম আতঙ্ক ছড়ায় কামরায় আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে। হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে আহত হন অনেকে। ওই ঘটনার পরেই অগ্নি-সুরক্ষার উপরে বিশেষ জোর দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো সূত্রের খবর, ২৪টি স্টেশনের কর্মীদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ২০০ জনেরও বেশি কর্মীকে দমকল দফতরের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বেহালায় দমকলের ট্রেনিং স্কুলে চলেছে ওই প্রশিক্ষণ। এ ছাড়াও সব ক’টি স্টেশনের কর্মীদের নিয়ে হয়েছে আগুন নেভানোর মহড়া। লকডাউনের আগে পর্যন্ত টানা এই প্রক্রিয়া চলেছে। মেট্রোর আধিকারিকেরা মনে করছেন, নতুন এই সরঞ্জাম কেনার ফলে অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে।