ফাইল চিত্র।
টোকেন চালু হওয়ার পরে মেট্রোয় যাত্রীর সংখ্যা প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত শনিবার, বড়দিনের সন্ধ্যায় মেট্রোয় দু’লক্ষেরও বেশি যাত্রী টোকেন ব্যবহার করে সফর করেছেন। গত সপ্তাহের সোমবার প্রায় এক লক্ষ যাত্রী টোকেন কিনে মেট্রোয় উঠেছিলেন। অতিমারির আগে যত সংখ্যক যাত্রী দৈনিক মেট্রোয় সফর করতেন, এখনও সেই সংখ্যায় না পৌঁছলেও যাত্রী দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা।
যাত্রী-সংখ্যার এ হেন বাড়বাড়ন্ত অতিমারি-পর্বের খরা কাটিয়ে মেট্রোর কাছে আয়ের নতুন দরজাও খুলে দিচ্ছে। যাত্রী-ভাড়া বহির্ভূত খাতে মেট্রোর আয়ও বাড়ছে।
মেট্রোর মেধা সিরিজ়ের নতুন এসি রেক প্রায় তিন বছর ধরে ছুটতে শুরু করলেও এত দিন ওই সব রেকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো সংস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি, অতিমারি-পর্বে দীর্ঘ সময় মেট্রো এবং অন্যান্য গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ওই খাতে মেট্রোর নিয়মিত আয়ও ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি যাত্রী বাড়তে শুরু করায় ফের এ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। মেট্রোর ন’টি পুরনো এসি রেক এবং দু’টি মেধা সিরিজের রেকের ব্র্যান্ডিং কয়েক মাস আগেই হয়েছিল। চলতি মাসে আরও পাঁচটি নতুন এসি রেকের ব্র্যান্ডিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মেট্রোর যাত্রী-ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় অনেকটা বাড়বে। পাশাপাশি, উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর ২৬টি স্টেশনের মোট ৫২টি কার্ড ব্যালান্স চেকিং টার্মিনালও ব্র্যান্ডিংয়ের কাজে ব্যবহার করার জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। মেট্রোকর্তাদের দাবি, যাত্রী-ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয় বাড়লে মেট্রোর পরিষেবা খাতে সামগ্রিক ক্ষতির বোঝাও কমবে। গত দু’বছরে অতিমারি-পর্বে পরিষেবা সচল রাখতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে মেট্রোর খরচের বোঝা বেড়েছে।