উদ্যোগ: এই ধরনের রেন্টাল টাওয়ার থেকেই পাওয়ার ব্যাঙ্ক ভাড়া নিতে পারবেন যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
এ বার মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের সুবিধার পাশাপাশি এই ব্যবস্থায় মেট্রোরও আয় বাড়বে। কী ভাবে? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পাওয়ার ব্যাঙ্ক ন্যূনতম টাকায় ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের থেকে আয় করবে মেট্রো। আবার তেমনই স্টেশন চত্বরের অব্যবহৃত জায়গায় ওই টাওয়ার বসিয়ে যাত্রী ভাড়া বহির্ভূত খাতেও রোজগার করবে মেট্রো।
কবি সুভাষ থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর ২৪টি স্টেশনেই থাকছে ওই ব্যবস্থা। প্রাথমিক পর্বে প্রত্যেকটি স্টেশনে মোবাইল ফোনের দু’টি করে পাওয়ার ব্যাঙ্কিং রেন্টাল টাওয়ার বসেছে। নির্দিষ্ট টাওয়ারে একাধিক পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকছে বলে জানা গিয়েছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, যাত্রীরা নিজেদের চাহিদা মতো পাওয়ার ব্যাঙ্কটিকে বেছে ন্যূনতম টাকায় সেটি ভাড়া নিতে পারবেন। কিউআর কোড স্ক্যান করে সেটিকে সঙ্গে নিয়ে মোবাইলে চার্জ দিতে পারবেন। তবে সেটি নিয়ে ২৪টি স্টেশনের মধ্যেই ঘোরাফেরা করা যাবে। গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছে মেট্রো চত্বর থেকে বেরোনোর আগে তা ওই স্টেশনের পাওয়ার ব্যাঙ্ক টাওয়ারে ফিরিয়ে দিতে হবে। তখনই কেটে নেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট টাকা। এর ফলে, দূর থেকে আসা যাত্রীরা কিংবা আচমকা মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে বিপত্তিতে পড়া যাত্রীদের সুরাহা হবে। বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থাকে দু’বছরের জন্য ভাড়ায় এই টাওয়ার বসানোর দায়িত্ব দিয়েছেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহারের জন্য অল্প কিছু টাকা দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে নতুন ব্যবস্থা সামগ্রিক ভাবে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেই সুবিধার হবে। এর আগে দেশের অন্যান্য শহরের কয়েকটি মেট্রো রেলে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য বৈদ্যুতিক সাইকেল বা স্কুটারও চালু হয়েছে। যা অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সুবিধা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই চার্জার ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।