মেট্রো বিভ্রাটে কাঠগড়ায় কোচ নির্মাণকারী সংস্থা

পরিস্থিতি বিচার করে কর্তারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে এ দিনই কড়া ভাষায় মেট্রোর পক্ষ থেকে কোচ নির্মাণ সংস্থা, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিকে (আইসিএফ) সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০২:৩৪
Share:

চাঁদনি চক স্টেশনে যাত্রীদের অপেক্ষা। সোমবার সন্ধ্যায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

গত ডিসেম্বরে ময়দান স্টেশনে মেট্রোয় অগ্নিকাণ্ডের মূলে ছিল থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টরে (টিআরসিসি) বিভ্রাট। সোমবারের মেট্রোয় বিপত্তির মূলেও ঘুরেফিরে আসছে সেই টিআরসিসি-র গোলমালের কথাই।

Advertisement

মেট্রোকর্তাদের মতে, ওই সমস্যা দ্রুত মেটানো না গেলে যে কোনও দিন ফের মেট্রোয় বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। পরিস্থিতি বিচার করে কর্তারা এতটাই ক্ষুব্ধ যে এ দিনই কড়া ভাষায় মেট্রোর পক্ষ থেকে কোচ নির্মাণ সংস্থা, ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিকে (আইসিএফ) সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। এক মেট্রোকর্তা রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘দশ বছরেও যে সংস্থা মেট্রোর কোচ তৈরির প্রযুক্তি ঠিক মতো আয়ত্ত করতে পারে না, তাদের মোটে বরাত পাওয়া উচিতই নয়। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বলেই এর পরেও বরাত পাওয়ার সুবিধে ভোগ করছে ওরা।’’

মেট্রো সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আইসিএফ-এর প্রযুক্তিবিদেরা এসে নতুন রেকগুলির যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতির কাজে হাত লাগাতে পারেন।

Advertisement

সোমবার মেট্রোয় ঠিক কী ঘটেছিল? মেট্রো সূত্রের খবর, শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনে আচমকা বিকল হয়ে পড়েছিল ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির (আইসিএফ) নতুন রেকটি। টিআরসিসি-র গোলমালেই ট্রেনে শর্ট-সার্কিটের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার জেরে শোভাবাজার সংলগ্ন মেট্রোর সাবস্টেশন বিকল হয়ে পড়ে। মাস তিনেক আগে চালু হওয়া আইসিএফ-এর তিন নম্বর রেকটিতে ওই ঘটনা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে শোভাবাজার স্টেশন থেকে কবি সুভাষমুখী ট্রেনটি ছাড়ার সময়ে আচমকা বিকট শব্দের পরেই থার্ড রেল বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। টিআরসিসি সংলগ্ন তার খুলে বেরিয়ে আসাতেই ওই ঘটনা বলে মেট্রো সূত্রের খবর। এ ক্ষেত্রে যে দিকে থার্ড রেল থেকে ট্রেনের মোটরে বিদ্যুৎ পৌঁছচ্ছিল, তার বিপরীত দিকে কোনও কারণে তার খুলে সরাসরি মেট্রো লাইনের সংস্পর্শে চলে যায়। ওই অবস্থায় সাবস্টেশনের ত্রুটি মেরামত করে তড়িঘড়ি থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সংযোগ করার ঝুঁকি নিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে এক মেট্রো কর্তা বলেন, ‘‘ট্রেনটিকে না সারিয়ে থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব ছিল না। পাশাপাশি লাইনে ট্রেন রেখেও ওই মেরামতি সম্ভব ছিল না। বিদ্যুৎবিহীন বিকল ট্রেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়াই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।’’ মেট্রো সূত্রের খবর, রাত ১০টা নাগাদ নোয়াপাড়া থেকে দু’টি ব্যাটারিচালিত বিশেষ লোকোমোটিভ নিয়ে এসে কোনও মতে ট্রেনটিকে ধীরে ধীরে ফের সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয় এবং মেট্রো চলাচল শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement