ফাইল চিত্র।
চলতি মাসেই ফুলবাগান ও শিয়ালদহের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর মহড়া দৌড় শুরু করতে চান কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হলে আগামী অক্টোবর মাসের শেষে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত অংশ যাত্রী পরিবহণের জন্য খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে।
তবে আপাতত ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত শুধু পূর্বমুখী সুড়ঙ্গই ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে শুধু দু’টি ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে। কারণ, বৌবাজার পর্যন্ত পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলেও এখনও টিবিএম উর্বীকে তুলে আনার কাজ শেষ হয়নি। দুর্ঘটনার পরে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের নির্মাণকাজও শিয়ালদহ থেকেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে উর্বী-সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ দিয়েই শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তোলা হচ্ছে। তাই ভূগর্ভস্থ স্টেশন ভবনের একাংশের ছাদ এখনই বন্ধ করা সম্ভব নয়। ওই স্টেশনের কাজ শেষ হতে আরও ছ’মাস লাগতে পারে বলে খবর। এ ছাড়া, ট্রেন চালানোর আগে সিগন্যালিং, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনডোরের কাজও শেষ করতে হবে।
এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত এসে শিয়ালদহ স্টেশনের আগের ক্রস ওভার থেকে অভিমুখ বদলে সেক্টর ফাইভের দিকে রওনা দেয়। নতুন ব্যবস্থায় ক্রস ওভার থেকে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছবে এবং একই পথে ফিরবে। ওই প্রক্রিয়ায় মহড়া দৌড়ে সমস্যা না থাকলেও যাত্রীদের জন্য এই ব্যবস্থা কতটা নিরাপদ, তা দেখতে তৃতীয় কোনও সংস্থার শংসাপত্র প্রয়োজন। সেই পরীক্ষায় উতরে গেলে রেলওয়ে কমিশনার অব সেফটির পরীক্ষাতেও পাশ করতে হবে। ফলে গোটা বিষয়টি খুব সহজ নয় বলেই মনে করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। নিরাপদে ট্রেন চালাতে ধর্মতলা অভিমুখে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের অন্তত ১০০ মিটার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে। তবে সবই নির্ভর করছে মহড়া দৌড়ের সাফল্যের উপরে।