সাইটে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে কথা বলার টোপ দেওয়া হত। ভয়েস কলের জন্য এক রকম টাকা, ভিডিয়ো কলের জন্য অন্য অঙ্ক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অনলাইনে বান্ধবী জোগান দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! কলকাতায় বসে ছত্তীসগঢ়ের এক ব্যবসায়ীকে ১২ লাখ টাকা প্রতারণা করে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই যুবক। বুধবার রাতে জীবনকৃষ্ণ সিংহ এবং সন্ধিশঙ্কর বারিক নামে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। অভিযোগ, কলকাতায় ভুয়ো ডেটিং সাইট খুলেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ওই দুই অভিযুক্ত। যোধপুর পার্কে রীতিমতো অফিস খুলে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই একটি ডেটিং সাইট চলছিল। সাইটে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে কথা বলার টোপ দেওয়া হত। ভয়েস কলের জন্য এক রকম টাকা, ভিডিয়ো কলের জন্য অন্য অঙ্ক। অনলাইন ওই ‘বান্ধবী’রা কী কথা বলবে, কতটা ‘উত্তেজক’ আচরণ করবে তার ওপর নির্ভর করবে প্রতি কলের প্রতি মিনিটের রেট।
ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুর জেলার বিশ্রামপুরের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী ওই সাইটের মাধ্যমে ‘বান্ধবী’ খুঁজছিলেন। অভিযোগ, ফোনে মহিলারদের গল্পের সূত্রেই জীবনকৃষ্ণ এবং সন্ধিশঙ্করের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ১২ লাখ টাকা খুইয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। তদন্তে জানা যায়, ওই দু’জন বেশ কয়েকজন মহিলাকে টেলিকলার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। সেই টেলিকলারদের দিয়েই প্রতারণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতের শহরে গোষ্ঠী বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ ১ ব্যক্তি, ধৃত ১
আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ, আমি নির্দোষ, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব’
ছত্তীসগঢ়ের এক ব্যবসায়ীকে প্রতারণায় দুই অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সিংহ এবং সন্ধিশঙ্কর বারিক। —নিজস্ব চিত্র।
ফোন নম্বর এবং আইপি অ্যাড্রেসের সূত্র ধরে তিন দিন আগে বিশ্রামপুর থানার একটি দল হাজির হয় কলকাতায়। ইডিএফ হাসপাতালের আশে পাশে কোথাও ওই দুই প্রতারকের অফিস, এটুকুই জানত ছত্তিসগঢ়ের পুলিশ। তাঁরা লেক থানার আধিকারিকদের সাহায্য নিয়ে যোধপুর পার্ক এলাকায় শেষ অবধি অভিযুক্তদের হদিশ পান। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ছত্তীসগঢ় পুলিশ ধৃতদের জেরা করার জন্য ছত্তীসগঢ় নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে ট্রানসিট রিমান্ডের আবেদন জানায় আদালতে।