আপনি বলছেন, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত বা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, এঁদের ইতিহাস আছে অথচ তৃপ্তি মিত্র, কেয়া চক্রবর্তী বা শোভা সেনের কোনো ইতিহাস নেই?” ব্রাত্য বসুর প্রশ্নের উত্তরে সুরঞ্জনা দাশগুপ্তের উত্তর, হ্যাঁ (ছবিতে রাজা অয়দিপাউস নাটকে তৃপ্তি ও শম্ভু মিত্র)। ‘ব্রাত্যজন’-এর কর্ণধার ও ব্রাত্যজন নাট্যপত্র-এর প্রধান সম্পাদক ব্রাত্য বসু, তাঁর তত্ত্বাবধানে ‘বাংলা থিয়েটারে নারী...’ গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ঈশিতা মুখোপাধ্যায় সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত সেঁজুতি মুখোপাধ্যায় তূর্ণা দাশ। দীর্ঘ আলোচনাপর্বে উত্থাপিত নানা প্রশ্নের উত্তরে ফুটে ওঠে নারীর স্বতন্ত্র অবস্থান ও স্পষ্ট স্বর। এই ক্রোড়পত্রটি-সহ নাট্যপত্রের আরও দু’টি ক্রোড়পত্রের একটি প্রবীর গুহকে নিয়ে, দীর্ঘ কথোপকথনে তাঁর বিকল্প থিয়েটারের ভাবনা ও কাজের বিস্তৃত পরিসরটিকে পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সম্পাদক। নতুন করে পরিচয় করান বের্টোল্ট ব্রেশট-এর সঙ্গেও, তাঁর জীবন সময় শিল্পকর্ম নিয়ে এক বিশেষ নিবন্ধে— সেখানে প্রশ্ন তোলেন: “বাংলার কমিউনিস্ট ও নাট্যিক আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকা নাম বারটোল্ট ব্রেশটের একটিও বাংলাভাষায় বিশদ প্রামাণ্য জীবনী রচিত হল না কেন?” নাটক-সংক্রান্ত প্রবন্ধাদি স্মৃতিকথা ও নাট্যাদি প্রকাশের ভিতর দিয়ে যে ভাবে এই নাট্যপত্রে প্রতিফলিত নাট্যদর্শনের অভিমুখ ও প্রতিমুখ, তাতে স্পষ্ট হয়ে আসে সমকালে নাট্যপত্রের প্রয়োজনীয়তা: “অভিনয় যেমন নাটকের প্রকাশভঙ্গির মাধ্যম, তেমনি পাঠকের কাছে মনের প্রকাশভঙ্গি... হয়ত বা একটা নাট্যপত্র”— সম্পাদকের ভাবনা।
আর ‘শূদ্রক’ নাট্যদলের কর্ণধার, সদ্যপ্রকাশিত শূদ্রক নাট্যপত্র-এর সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার মনে করেন: “আয়োজনে ধারাবাহিক প্রকাশের চেহারা বদলের একটি ইচ্ছে ফড়িং রং-বেরঙে উড়তে শুরু করেছে গত দু-বছর ধরে। সাধ-সামর্থ্যের ধস্তাধস্তি তো নিশ্চয়ই আছে। সঙ্গে নাট্যপত্রের ‘প্রয়োজনীয়তা’, ‘উদ্দেশ্য’, অবস্থানগত ‘দায়-দায়িত্ব’ ইত্যাদির ঠান্ডা গরমের তাপ উত্তাপ।” সেই ইচ্ছেফড়িং-এর রঙিন ডানায় ভর করেই বিভাস চক্রবর্তী রচিত লকডাউনের নাটক প্রকাশ পেয়েছে এই নাট্যপত্রে, সঙ্গে ছবি এঁকেছেন যোগেন চৌধুরী: ‘একজন চিত্রশিল্পীর এই নাটক পাঠের অনুভবসিক্ত ছবি’। অ্যাকাডেমিতে সম্প্রতি বাংলা ও ইংরেজি দু’টি সঙ্কলনে গ্রন্থিত এই নাট্যপত্রের আনুষ্ঠানিক প্রকাশে নাটকটি পাঠ করলেন বিভাসবাবু, বললেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘনাদ ভট্টাচার্য চিন্ময় গুহ প্রমুখ। নাটকে নাড়ির যোগ এমন দুই শিল্পী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও রবিশঙ্করকে নিয়ে লেখা বাংলা সঙ্কলনটিতে, তাঁদের জন্মশতবর্ষ স্মরণে। ইংরেজি সঙ্কলনটিতে নেমিচন্দ্র জৈন ইব্রাহিম আলকাজ়ি উষা গঙ্গোপাধ্যায় জয়ন্ত দাস... স্মরণীয় নাট্যব্যক্তিত্বদের নিয়ে আলোচনা, থিয়েটারের ভাষা ও তার দিকবদল নিয়ে বংশী কাউল প্রসন্ন এম কে রায়না অনুরাধা কপূর নীলম মানসিং চৌধুরী কীর্তি জৈন ওয়ামন কেন্দ্র প্রমুখের সাক্ষাৎকার ও লেখায় মননের অতুলন রসদ।
দুই চিত্রনাট্য
রবীন্দ্রকাহিনি অবলম্বনে ১৯৫৯ সালে নষ্টনীড়-এর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন সত্যজিৎ রায়, নানা কারণে ছবিটি করে ওঠা হয়নি। ’৬৩-তে নষ্টনীড় অবলম্বনেই যখন চারুলতা তৈরির কাজ শুরু হল, চিত্রনাট্য অনেকটাই গেল পাল্টে। “একই ছবির চিত্রনাট্যের আলাদা দু’টি সংস্করণ... সত্যজিতের চিন্তাভাবনার বিবর্তনের সাক্ষী,” লিখেছেন ঋদ্ধি গোস্বামী, খেরোর খাতাবন্দি বাতিল চিত্রনাট্যটির সূত্রে। শর্মিলা ঠাকুরকে ভাবা ছিল তখন চারুর ভূমিকায়, ভূপতি: কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, উমাপদ: অনিল চট্টোপাধ্যায় বা বসন্ত চৌধুরী। কেউই ছিলেন না চারুলতা-য়, শুধু অমলে সৌমিত্র-নির্ভরতা ছিল অটুট। সন্দীপ রায়ের সম্পাদনায় সদ্য প্রকাশ পেল সত্যজিৎ রায়ের রবীন্দ্রনাথ (প্রকাশক: বিচিত্রা)। সত্যজিতের চিত্রনাট্য, রবীন্দ্র-আলোচনা, রবীন্দ্রগান নিয়ে সাক্ষাৎকার— সবই রয়েছে এ বইয়ে। ছবিতে সত্যজিতের করা রবীন্দ্র-স্কেচ।
বিজ্ঞানজীবন
তাঁর পিতামহ চন্দ্রভূষণ ভাদুড়ী ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। আর তিনি, অমরনাথ ভাদুড়ী (১৯৩৫-২০০৩), সেখানকারই কৃতী ছাত্র, মিশিগান ইউনিভার্সিটির ডি এসসি, হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো— জৈব উৎসেচক গবেষণায় অগ্রণী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এক জন। শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারে ভূষিত এই অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী সফল বিজ্ঞান-প্রশাসকও, ছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি-র অধিকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শদাতা ও নির্বাচিত উপদেষ্টা। বিজ্ঞান প্রসারে অনলস, স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা প্রসারের কাজে, কর্মশালায় গিয়েছেন বহু বার। ৫ জুন তাঁর প্রয়াণদিনে তাঁকে স্মরণ করলেন বিশিষ্টজন, ‘অমরনাথ ভাদুড়ী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে আশুতোষ মেমোরিয়াল লাইব্রেরিতে এক অনুষ্ঠানে ।
নৃশংসতার বিরুদ্ধে
ন্যায়-বৈশেষিক দর্শনের আলোয়, তিন হাজার বছরের ভারতীয় দর্শনের প্রধান ভিত্তিগুলি আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের নিরিখে বুঝতে চেয়েছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পলডিং অধ্যাপক বিমলকৃষ্ণ মতিলাল (১৯৩৫-৯১)। সাহিত্য ও মহাকাব্যের, বিশেষত মহাভারতের অনুষঙ্গে উপলব্ধির আলোয় জ্বালাতে চেয়েছিলেন চিত্তদীপ, প্রাত্যহিক সঙ্কট সংশয়ের সঙ্গে যুঝবার সহায়তায়। তাঁরই ছাত্র, হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরিন্দম চক্রবর্তী ‘দ্বিতীয় বিমলকৃষ্ণ মতিলাল স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন, বিষয়: ‘দয়ধ্বম: নৃশংসতার বিরুদ্ধে মহাভারত থেকে এরিক ফ্রম’। আগামী ১৩ জুন সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায়, ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হল-এ। আয়োজনে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষ্টুপ পত্রিকা।
স্মৃতিলেখ
সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁকে বলেছিলেন দু’জনে মিলে একটা সাহিত্যের ইতিহাস লেখার কথা: “মেয়েদের কথা থাকবে তাতে, তুমি লিখবে মেয়েদের কথাটা।” নয় বোনের বাড়ি ও সেইসব কথা, দু’টি বই নিয়ে সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের গদ্য চিনিয়ে দেয় প্রতিমা ঘোষের লেখকসত্তা। তাঁর অপ্রকাশিত রচনা ‘১৯৯৭ সালের ডায়েরি থেকে’, আট বছরের নাতনিকে চিঠির ছলে লেখা বাংলাদেশ ভ্রমণকথা— মুক্তিযুদ্ধ, নতুন দেশ ও সংস্কৃতিকে ফিরে দেখা। এই সবই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে পুনশ্চ বাংলা পত্রিকা-র (সম্পাদক: পিনাকেশ সরকার) সাম্প্রতিক সংখ্যায়। আছে বিভাগের কয়েকজন প্রয়াত শিক্ষক ও শিক্ষক-পত্নীর স্মৃতি-আলেখ্য: কৃষ্ণপদ গোস্বামী মৈত্রেয়ী সরকার মদনমোহন গোস্বামী শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে লেখা— পবিত্র সরকার অনুরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যবতী গিরি প্রমুখের কলমে।
অন্য, অনন্য
নাকটা বড়, শরীরটা বেঢপ, চামড়া পুরু। শিংটার কথা তো ছেড়েই দাও। এর সঙ্গে কে সই পাতাবে, খেলায় নেবে কে? লেগিংস পরলে বেখাপ্পা, রবারব্যান্ড নিয়ে খেলতে গিয়ে নিজেই জড়িয়েমড়িয়ে অস্থির— লু’কে নিয়ে বড় বিপত্তি। হবেই তো, সে যে একটা গন্ডার। বাবা-মা আর ক্লাসটিচারের খুব চিন্তা: ক্লাসের আর সবার সঙ্গে একে মেলানো যাবে কোন জাদুতে? ইস্কুলে পড়ুয়াদের বিচিত্র ভিন্নতা নিয়ে জার্মান নাট্যকার টিনা মুলারের লেখা পুরস্কারজয়ী নাটক ডিকহটার পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা অনুবাদে হয়েছে স্থূলচর্ম, তীর্থঙ্কর চন্দের নির্দেশনায় তারই পাঠ-অভিনয় করবে আজ ‘আবহমান’ দল, বিকাল ৪টায়, গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট ম্যাক্সমুলার ভবনে। জার্মান-বাংলা অনুবাদ নিয়ে আলোচনাও হবে।
অনন্য সম্ভার
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শহরে ১৯৪৩ সালে বি এসসি পড়া শেষে এম এসসি-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া হল, কিন্তু মন তত দিনে ডুব দিয়েছে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দে। উত্তরকালে তিনিই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শ্রদ্ধেয় সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ, স্বামী গীতানন্দ (১৯২৪-২০১৪)। তপস্যা-প্রার্থনাপূত জীবনের সমান্তরালে বহতা ছিল ডাকটিকিট জমানোর শখ, প্রায় ৭৫টি দেশের ডাকটিকিট জমিয়েছিলেন (নীচে ডান দিকের ছবি)। আধুনিক সংরক্ষণ প্রযুক্তির ব্যবহারে, অ্যাসিড-ফ্রি প্লাস্টিক কভারে রক্ষিত সেই ডাকটিকিট-সংগ্রহ দেখার সুযোগ এ বার, রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার গোলপার্কের মিউজ়িয়ম ও আর্ট গ্যালারির বার্ষিক প্রদর্শনীতে, আগামী ১৭ জুন থেকে ১৬ জুলাই। উদ্বোধন করবেন অন্যতম সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী সুহিতানন্দ। সঙ্গে বাংলার পুতুলের সম্ভারও— মাটি কাঠ গালা ঝিনুক-সহ নানা উপকরণের— অগ্নিবর্ণ ভাদুড়ী, ঈশিতা বসু রায়, সৌভিক রায়, সৌরভ বেরা ও সৃজন দে সরকারের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে। নীচে বাঁ দিকের ছবিতে শিব-পুতুল।
প্রথম আদি
১৯৩১ সালে (শ্রাবণ, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) পরিচয় পত্রিকা প্রকাশকে বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন বাংলা সাহিত্যের ‘একটি আনকোরা ঘটনা’। পত্রিকা প্রকাশে সম্পাদক সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পেয়েছিলেন অকৃত্রিম, তৎপর সুহৃদ্সঙ্গ: গিরিজাপতি ভট্টাচার্য, নীরেন্দ্রনাথ রায়, হিরণকুমার সান্যাল, সুশোভন সরকার, বিষ্ণু দে, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘প্রাচীন ও আধুনিক সমস্ত ভাব-গঙ্গার ধারা বাংলা ভাষার ক্ষেত্রের ভিতর দিয়া বহাইয়া দেওয়া’ই পরিচয়-এর প্রধান উদ্দেশ্য, লেখা হয়েছিল প্রথম সম্পাদকীয়তে; লালনের ভার অর্পিত হয়েছিল তাঁদের উপরে, বাংলা ভাষার ‘ভবিষ্যতের আলোকিত প্রসার সম্বন্ধে যাঁহাদের বিশ্বাস অকুণ্ঠ।’ নব্বই পেরিয়ে পরিচয়-এর অব্যাহত যাত্রা সেই ‘আলোকিত প্রসার’-এরই উদ্ভাস, এ বার নব্বই বর্ষ পূর্তি উদ্যাপনে অমূল্য প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যাটির ফ্যাক্সিমিলি সংস্করণ প্রকাশ করলেন এখনকার পত্রিকা কর্তৃপক্ষ (ছবিতে প্রচ্ছদ)। বাংলা সাহিত্যের দিগন্তপ্রসারী লেখকদের লেখা—আসলে ইতিহাস— দুই মলাটে। ছিল না রবীন্দ্রনাথের লেখা, সম্পাদকদের পূর্বভাবনারই সাক্ষ্য তা।
শুভ স্নান
১০৮ কলসির জলে স্নান, অবধারিত অসুস্থতা টানা পনেরো দিন। চাই শুশ্রূষা, সুস্থতা, তবে না আবার ভক্তদের দর্শন দেবেন জগন্নাথ, রথের দিন! রথযাত্রার আগে জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় স্নানযাত্রা তিথি ভবিষ্যৎ কল্যাণের প্রতীকী, এ দিন তাই শুভ কাজে হাত দেন অনেকে। মাহেশের স্নানযাত্রার কথা লিখেছেন হুতোম, ঈশ্বর গুপ্ত; এক পয়সার বাঁশি কি রাঙা লাঠি কিনতে পারা-না পারার সুখ-দুঃখকে রবীন্দ্রনাথ মিলিয়েছেন স্নানযাত্রার মেলার আবহে। আগামী ১৪ জুন স্নানযাত্রা— বৌবাজার সনাতন শীল লেনে স্বরূপ ধরের ঠাকুরবাড়ি, গোকুল বড়াল স্ট্রিটের জগন্নাথবাড়ি, গোবিন্দ সেন লেনে চুনিমণি দাসী স্থাপিত ঠাকুরবাড়ি-সহ পালিত হবে শহরের বহু জায়গায়, প্রাচীন বাড়িগুলিতেও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।