সেকাল আর একালের দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম।
ঠিকানা ৯৩ ও ৯৭ শরৎ বোস রোড। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একুশ শতকের কর্মব্যস্ত মহানগরের জীবনস্রোত। সে সব ঠেলে উৎসুক কেউ যদি প্রবেশ করেন এই প্রাঙ্গণে, চোখে পড়তে পারে এক দল শিশু আনন্দে খেলছে উঠোনে, অথবা শিক্ষকেরা পড়াচ্ছেন ছাত্রদের, হয়তো চলছে নাটকের মহড়া। বাড়িটির নাম— দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম। প্রতিষ্ঠা: ১৯২৪ সালে। দক্ষিণ কলকাতায়, রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত হাসপাতাল কেন্দ্রটির লাগোয়া এই সেবাশ্রম ধারণ করে আছে বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ কালপর্ব, যার পুরোধা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু!
একটি স্বাস্থ্যকর স্থান বেছে এমন একটি আশ্রম তৈরি করতে হবে, যেখানে থাকবে শিশু-কিশোরদের দৈহিক ও মানসিক সুশিক্ষার সব রকম বন্দোবস্ত— এমন ইচ্ছা সুভাষচন্দ্রের মনের মধ্যে ছিল। ভবানীপুরে অন্য এক অনাথাশ্রম তখন নানা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যে সব ছেলের যাওয়ার কোনও জায়গা ছিল না, তাদের আশ্রয় দিতেই গড়ে উঠল দক্ষিণ কলিকাতা সেবাশ্রম, ১৯২৪ সালের ১১ মার্চ, এক সভার মধ্য দিয়ে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ হলেন সেবাশ্রমের সভাপতি, সম্পাদক সুভাষচন্দ্র বসু, কোষাধ্যক্ষ নির্মলচন্দ্র চন্দ্র। সেবাশ্রমের কাজ সোৎসাহে শুরু হতে না হতেই আঘাত, রাজদ্রোহী বিবেচনায় সুভাষচন্দ্রকে বর্মায় অন্তরিন করল ব্রিটিশ সরকার। ১৯২৫-এ অকস্মাৎ প্রয়াত হলেন দেশবন্ধুও। মনোহরপুকুর রোড, বেলতলা রোডের নানা ঠাঁই ঘুরে ক্রমে ১৯৩০-এর পরে তেরো কাঠা জমি পাওয়া গেল, এক বছরের মধ্যে তৈরি হল সেবাশ্রমের বাড়ি।
সেবাশ্রমের সঙ্গে যুক্ত সেই সময়ের যাঁরা, সেই অমৃতলাল চট্টোপাধ্যায়, অনাথবন্ধু দত্ত, ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিল বিশ্বাসের মতো কয়েক জনকে নানা সময়ে লেখা চিঠিতে ধরা আছে এই উদ্যোগটি ঘিরে নেতাজির আবেগ। শতবর্ষের সূচনায় প্রকাশিত সেবাশ্রম স্মরণিকা-য় আজকের কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন সেই অমূল্য চিঠিগুলি, এ ছাড়াও নানা জরুরি নথি, পুরনো ছবি। ১৯২৬-এ মান্দালয় জেল থেকে লেখা এক চিঠিতে সুভাষচন্দ্র লিখছেন, “আমি কংগ্রেসের কাজ ছাড়িতে পারি, তবুও সেবাশ্রমের কাজ ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব। ‘দরিদ্র নারায়ণের’ সেবার এমন প্রকৃষ্ট সুযোগ আমি কোথায় পাইব।” বোঝা যায় সেবাশ্রম ও তার কাজ নিয়ে তাঁর ভালবাসার গভীরতা।
নেতাজির দেখানো সেবাপথে নিরবচ্ছিন্ন চলেছে সেবাশ্রমের কাজ। ৭০ জন বালক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আছে এই অঞ্চলের আর্থিক সঙ্গতিহীন শিশুদের জন্য ফ্রি প্রাইমারি স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টার, এ ছাড়াও কম্পিউটার ও সেলাই শিক্ষার কোর্স। গত ১১-১২ মার্চ হয়ে গেল শতবর্ষের সূচনা উৎসব— শরৎচন্দ্র বসুর কন্যা নবতিপর রমা রায়, স্বামী সুপর্ণানন্দ, বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ-সহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে। আজকের সময়ে সমাজসেবা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেই নিয়ে আলোচনাচক্রও হল দ্বিতীয় দিনে; আশ্রমের শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাংলা ও ইংরেজিতে নাটকও। শতবর্ষ উপলক্ষে বিনামূল্যে দু’টি ছ’মাসের কারিগরি কোর্সের উদ্যোগ করা হয়েছে। এখনকার কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য করছেন, দরকার বৃহত্তর সমাজের, শুভবোধসম্পন্ন নাগরিকদের সচেতনতা— বিশেষত নেতাজির ১২৫ বছর পেরিয়ে আসার আবহে। ছবিতে ১৯৩৪-এর এবং আজকের সেবাশ্রম, পাশাপাশি।
আজও উজ্জ্বল
তারাপদ চক্রবর্তী ও চিন্ময় লাহিড়ীর উজ্জ্বল ছাত্রটি গুণী তালবাদ্যেও। আশুতোষ কলেজে নির্ধারিত তবলিয়ার অনুপস্থিতিতে শচীন দেব বর্মণের সঙ্গে সঙ্গতে নিজেকে চেনালেন; পুরস্কার— শিল্পীর বাড়িতে আহ্বান। বাড়িতে গিয়ে কিন্তু দেখা মেলেনি। সেই জেদের শুরু। শচীনকত্তার গান তো বটেই, ক্রমে রাগাশ্রয়ী ও মরমি বাংলা গানে নিজের আসন পাকা করলেন অখিলবন্ধু ঘোষ (ছবি), যাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে বাংলা গানের বিপুল ঐশ্বর্য: ওই যে আকাশের গায়, পিয়ালশাখার ফাঁকে, ও দয়াল বিচার করো, শিপ্রা নদীর তীরে, রসঘন শ্যাম, কেন তুমি বদলে গেছ, সে দিন চাঁদের আলো, তোমার ভুবনে ফুলের মেলা... আরও কত। আর্থিক স্বীকৃতি বা স্বস্তি জোটেনি জীবদ্দশায়। তাঁর ছাত্রছাত্রী ও গুণমুগ্ধরা ভোলেননি ওঁকে, প্রতি বছর ‘অখিলবন্ধু ঘোষ স্মৃতি সংসদ’ নিয়ম করে অনুষ্ঠান করে গানে, কথায়। এ বারেরটি ২০ মার্চ, ওঁর প্রয়াণদিনে— আশুতোষ কলেজ প্রেক্ষাগৃহে সন্ধ্যা ৬টায়।
গানের ভেলায়
কখনও স্বল্পশ্রুত রবীন্দ্রগানের চর্চা ও পরিবেশন, কখনও রেকর্ডের মাধ্যমে গুরু-শিষ্য সাঙ্গীতিক পরম্পরার প্রসার। গত চার দশক ধরে কলকাতায় ও পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, দেশের নানা প্রান্তে, বিদেশেও বাংলা গানের সুস্থ চর্চায় নিবেদিত সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান ‘অভিজ্ঞান’, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। ৪০তম বর্ষের শুভ সূচনায় অভিজ্ঞান-এর আয়োজনে গত ১১-১২ মার্চ হয়ে গেল দু’দিন ব্যাপী সাঙ্গীতিক কর্মশালা ও আলোচনাচক্র ‘গানের ভেলায় দুটো দিন’। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন প্রেক্ষাগৃহে বললেন প্রমিতা মল্লিক শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় মানসী মুখোপাধ্যায় দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মৌমিতা মিত্র প্রমুখ, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। উপাসনার গান, স্বল্পশ্রুত রাগ, শিল্পীর আইনি অধিকার-সহ নানা প্রসঙ্গ আলোচিত হল, উপস্থাপনা-নমুনা সমেত।
ছবির জাপান
কলকাতার সংস্কৃতি-মহলে একটা কথা ঘোরে ফেরে, এই গাদাগুচ্ছের খরচপত্রের বাজারেও চোখ-কান একটু খোলা রাখলে এ শহরে বিনি পয়সায় এমন সব শিল্প-অভিজ্ঞতা মেলে যার তুলনা নেই। অন্য দেশের ছবি সিনেমা গান নাটক খাবার-সহ হরেক জগৎকে ঘিরে থাকে সেই অভিজ্ঞতারা। প্রমাণ, নন্দন-৩’এ গতকাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের জাপানি ছবির উৎসব। কলকাতার কনসুলেট জেনারেল অব জাপান, জাপন ফাউন্ডেশন ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া (এফএফএসআই) একত্র আয়োজক এই ছবি-উৎসবের, দেখানো হচ্ছে মোট পাঁচটি ছবি। আজ দুপুর ৩টে ও বিকাল সাড়ে ৪টায় কিলিং ও আ বিউটিফুল স্টার, আগামী কাল রবিবার দুপুর ৩টা ও বিকাল ৫.১৫-তে আ বানানা? অ্যাট দিস টাইম অব নাইট? আর অলমোস্ট আ মির্যাকল।
তুলির টানে
যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। উত্তর কলকাতার চিকিৎসক, চক্ষু কর্ণ নাসিকা বিশেষজ্ঞ প্রদীপ পাত্র হাতে স্রেফ ডাক্তারি ছুরি-কাঁচিই ধরেন না, তুলে নেন তুলিও। ডাক্তারি যদি তাঁর পেশা, নেশা ছবি আঁকা। এক কালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রনেতা, ছোটবেলা থেকেই আঁকার হাত, যদিও প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেই। পছন্দের মাধ্যম চারকোল, অ্যাক্রিলিক আর জলরং। ফেসবুকে জুড়ে থাকা বন্ধুরা প্রতি রবিবার রাতের দিকে ওঁর টাইমলাইনে দেখতে পান আঁকিবুঁকির নমুনা, কারণ সে দিন তাঁর ছুটির দিন, ছবি আঁকার দিন। আজকের রবীন্দ্র সরণি নিয়ে একটি বইও লিখেছেন, চিৎপুর চরিত। আগামী ২০-২৩ মার্চ গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায় ওঁর ছবির প্রদর্শনী, দুপুর দুটো থেকে রাত ৮টা।
অচর্চিত
স্বাধীনতার ৭৫ স্মরণে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী মেন্টরশিপ স্কিম ফর যুব’ প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট-এর ব্যবস্থাপনায় ভারতের বিভিন্ন ভাষার ৭৫ জন তরুণ লেখক নির্বাচিত হন, স্বাধীনতা সংগ্রামের অকথিত কাহিনি বা প্রায় অপরিচিত, আঞ্চলিক ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিপ্লবীদের অবদান নিয়ে গবেষণামূলক কাজের জন্য। বাংলা ভাষার প্রতিনিধি ছিলেন সুস্মিতা হালদার ও মৌলি রায়। সুস্মিতা কাজ করেছেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের গড়বেতার ‘লায়েক’ বিদ্রোহ নিয়ে, লিখেছেন বই লায়েক-গাথার নায়ক-খোঁজে, সম্প্রতি প্রকাশিত হল দিল্লিতে। তাঁর বইয়ে লায়েক বিদ্রোহের নেতা অচল সিংহ এমন এক বিপ্লবী যাঁর প্রকৃত পরিচয়ও ইংরেজরা উদ্ধার করতে পারেনি। আর এক লেখিকা মৌলি রায়ের কাজ গান্ধীজির অনুগামিনী চারুপ্রভা দেবীকে নিয়ে, তাঁর বই আগুনপাখি চারুপ্রভা প্রকাশিত একই প্রকল্পের অধীনে।
অন্য সফর
নানা দেশের পতাকা ওড়ানো সাগরমুখী জাহাজ দাঁড়াত এখানে।
আজ যা স্ট্র্যান্ড রোড-মিলেনিয়াম পার্ক, গত শতাব্দীর প্রথম দিক পর্যন্ত তা ছিল কলকাতা বন্দরের ব্যস্ততম কর্মস্থল। তখনও খিদিরপুর বা নেতাজি সুভাষ ডক (পূর্বনাম কিং জর্জ’স ডক) দূর অস্ত্। নানা দেশের পতাকা ওড়ানো সাগরমুখী জাহাজ দাঁড়াত এখানে। ১৮৩৪ সাল থেকে অগণিত শ্রমিককে মরিশাস আফ্রিকা গায়ানা সুরিনাম বা ফিজির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়, তার প্রথম জাহাজটিও ছাড়ে এখানকার ‘মুরিংস’ থেকে। কলকাতা বন্দরের তরফে ২০১৮ থেকে চালু হয়েছে ঐতিহ্য সফর, আগামী ২৫ মার্চ সেটিই একটু অন্য ভাবনায়, জানালেন এর মূল পরিকল্পক ও বন্দর-ঐতিহ্য গবেষক গৌতম চক্রবর্তী। মাঝনদীতে বজরা থেকে অন্য এক পাল-তোলা ‘কুলি-জাহাজ’-এ ওঠানো হয়েছিল ৩৬ জন ভারতীয় ‘চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক’কে, ফিরে দেখা হবে সেই দিনটিকে— ‘দ্য গ্যাঞ্জেস ওয়াক’ ও ‘ইস্টার্ন ন্যাভিগেশন’-কে সঙ্গে নিয়ে। থাকবে দু’টি জলযান, তার মধ্যে একটি ১৯৪৫-এ নির্মিত ও সম্প্রতি পুনর্মার্জিত ‘প্যাডলশিপ ভূপাল’। রয়েছে জলযানে অভিবাসন সংক্রান্ত চিত্র-প্রদর্শনীর ভাবনাও। ছবিতে উনিশ শতকের হুগলি নদী, উইকিমিডিয়া কমনস থেকে।
উৎসবে
ঊনবিংশ শতকের বাংলা মঞ্চের বিখ্যাত অভিনেত্রী।
“বিনোদিনীকে নিয়ে নাটক করা আমার দায়িত্ব মনে করি। বঙ্গরঙ্গমঞ্চে দিগন্ত উন্মোচিত করেছিলেন যিনি, তাঁকে নতুন প্রজন্মের কাছে উদ্ভাসিত করাটাই দায়িত্ব,” বলছিলেন অবন্তী চক্রবর্তী। তাঁর নির্দেশনায় বিনোদিনী অপেরা আগামী ২৬ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, রবীন্দ্র সদনে। “ঘরের মানুষ বিনোদিনীকে (ছবি) নিয়ে কাজ করা হয়নি, দীর্ঘ গবেষণায় খুঁজেছি তাঁকে প্রকাশের উপযুক্ত নাট্যভাষা,” মন্তব্য নির্দেশকের; জানালেন বিনোদিনীর ভূমিকায় সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে নিজ ভাবনার যৌথতার কথাও। রবীন্দ্র সদনে ‘রাসবিহারী শৈলুষিক’ আয়োজিত নাট্যোৎসব ২৫-২৬ মার্চ, সেখানেই দেখা যাবে এ নাটক। এ ছাড়াও রয়েছে শৈলুষিক-এর প্রযোজনা বরকতগঞ্জের বকরা, অন্য থিয়েটার-এর নাটক প্রথম রাজনৈতিক হত্যা, কল্যাণী নাট্যচর্চা কেন্দ্রের মেয়েটি, চেতনা-র মারীচ সংবাদ-ও।
পেশা ও নেশা
এক্স রে, সি টি স্ক্যান, এমআরআই... এদের ভিতরের মানে খুঁজতে আর কাজে লাগাতে অনেকটাই সময় যায় অর্থোপেডিক সার্জনদের। তার বাইরেও নানা শখ আর প্যাশন ওঁদের, অনেকেই ফোটোগ্রাফি চর্চা করেন মন দিয়ে, ছবির খোঁজে দৌড়োন প্রকৃতি ও জীবনের কাছে, ধরে রাখেন ক্যামেরায়। গৌতম বসু অভিজিৎ সর্বাধিকারী কুণাল সেনগুপ্ত ইন্দ্রজিৎ সর্দার ভাস্কর দাস চিন্ময় নাথ অনিরুদ্ধ কীর্তনিয়া ও অর্ণব কুণ্ডু, কলকাতার আট অর্থোপেডিক সার্জন তাঁদের তোলা ছবি নিয়ে আয়োজন করেছেন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ইমেজিং অর্থোপডস’, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে ২১ থেকে ২৬ মার্চ, দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা। দ্বিতীয় বছরের এ প্রদর্শনীর ছবি বিক্রির বহুলাংশ ওঁরা দেবেন পশ্চিমবঙ্গ অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন-এর ত্রাণ তহবিলে।