বাঁ দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় এবং পীযূষ গোয়েল।
শহরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন করতে আসছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বৃহস্পতিবারের ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে। কিন্তু,সেখানে নাম নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ওই মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনী আমন্ত্রণপত্রে কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেই, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ইচ্ছাকৃতভাবেই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে তারা। ফলে এই উদ্বোধন নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য সম্পর্ক ফের জটিলতায়।তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু দলনেত্রীর নামআমন্ত্রণপত্রে নেই, তাই সুজিত বসু এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তীও ওই অনুষ্ঠানে না-ও যেতে পারেন। আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না-থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধাননগরের মেয়র। তিনি এ দিন বলেন, “তিন মাস আগেই ঠিক করা হয়েছে, আজ টেন্ডার সংক্রান্ত একটি বৈঠক হবে। তাই আমি আজ যেতে পারব না। বৈঠকে যোগ না দিলে টেন্ডার প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে।”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, দলনেত্র্রীর নামই যেখানে নেই, সেখানে দলের কারও পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।
ফলে এ দিন তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পদস্থ এক কর্তার কথায়, ‘‘রেল মন্ত্রকের প্রোটোকল মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘সব কিছুর তো একটা নিয়ম আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলে বাংলায় রেলের এত কিছু হয়েছে। অথচ তাঁকে দিনের দিন আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে! তিনি প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যস্ত, বাইরে রয়েছেন। দিনের দিন আমন্ত্রণ জানানোর এর অর্থ কী? হাস্যকর এবং নি্ন্দনীয়! বাংলার মানুষের স্বাভিমানে আঘাত লেগেছে এই ঘটনায়।’’
আরও পড়ুন-ঝাঁপ-ভোগান্তি আর নয়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো স্টেশনে থাকছে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর