(বাঁ দিকে) ফিরহাদ হাকিম। বিজয় উপাধ্যায় (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
২০২১ সালের শেষে কলকাতা পুরসভা ভোটে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিজয় উপাধ্যায় জিতেছিলেন ন’হাজারের বেশি ভোটে। ২০২৪ সালের লোকসভায় বিজয়ের ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে রয়েছেন মাত্র ২১৭ ভোটে। সেই ‘ব্যর্থতার’ দায় কাঁধে নিয়ে কাউন্সিলর পদ ছাড়তে চেয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা দক্ষিণ কলকাতা লোকসভায় জয়ী মালা রায়কে চিঠি দিলেন বিজয়।
সেই চিঠিতে বিজয় লিখেছেন, গত মে মাসে ফিরহাদ সমস্ত কাউন্সিলরদের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যিনি যে ওয়ার্ডে যত ভোটে জিতেছিলেন, সেই ব্যবধান যেন না কমে। নিজের ওয়ার্ডে তা বাস্তবায়িত না করতে পারায় ইস্তফা দিতে চান বিজয়।
চিঠি প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, “আমাকে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ওখানে পাঠিয়েছিলেন। আমি দাঁড়িয়ে ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। লোকসভায় ২১৭ ভোটের লিড আমি মেনে নিতে পারছি না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। প্রত্যেকে আমার কাজে খুশি। কিন্তু ভোট দেবেন না কেন ? সেই জন্য আমার মনে অনেক কষ্ট হল। আমি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।”
বিজয়ের ওয়ার্ডে তবু ২১৭ ভোটের লিড রয়েছে। ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে পুরসভার অনেক মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যানদের নিজের ওয়ার্ডে তৃণমূল হেরেছে। কোথাও লিড পেয়েছে বিজেপি, কোথাও আবার সিপিএম। এ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে আলোচনাও রয়েছে। যে কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে, বিজয়ের চিঠির পর তাঁদের স্নায়ুর চাপ বৃদ্ধি পাবে বলেই মত অনেকের। তবে মেয়র এবং চেয়ারপার্সন বিজয়ের ইস্তফা গ্রহণ করেন কি না সেটাই দেখার।