ফাইল চিত্র।
হাতে মাত্র ১০ দিন। সময়ের মধ্যেই শেষ করতে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে চলছে স্টল তৈরির কাজ। মেলা প্রাঙ্গণে কোথায় কাদের স্টল হবে, তার বিন্যাসের কাজও শুরু হয়েছে। বিধাননগরে করুণাময়ী মেলা প্রাঙ্গণে ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা।
ফলে প্রস্তুতিতে মগ্ন বইমেলা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, বিধাননগর মেলার পরে মাঠ হাতে পেয়ে ১৬ জানুয়ারি বইমেলার প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি দফতরের কাজ আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরে বিধাননগরের ওই মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব অভিযোগ মাথায় রেখে এ বার আগাম পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন।
২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। এ বারের ফোকাল থিম রাশিয়া। বইমেলা কর্তৃপক্ষের খবর, মেলায় ৬০০-র বেশি স্টল হতে চলেছে। গত বারের চেয়ে বাড়ছে স্টলের সংখ্যা। লিটল ম্যাগাজিনের স্টলের সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নেও স্টলের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু দে জানান, সময়ের আগেই প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে জোরকদমে কাজ চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার পার্কিং লটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পর্যাপ্ত পরিমাণে গাড়ি রাখার জন্য পাসেরও ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত পরিমাণে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। উল্টোডাঙা থেকে শাটল বাসের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন রুটের বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি গত বছরে অটোর ভাড়ার সমস্যা মেটাতে এ বার ভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেই ভাড়ার তালিকা প্রতিটি রুটের অটোগুলিতে লাগানো হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছনোর বিভিন্ন রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মেলায় সিসি ক্যামেরা, ওয়াচটাওয়ার, মেটাল ডিটেক্টর যেমন থাকবে, তেমনই পদস্থ পুলিশ কর্তাদের নেতৃত্বে বাহিনী নজরদারিরও কাজ করবে বলে সূত্রের খবর। অগ্নিসুরক্ষায়
ন্যূনতম ৫টি দমকলের ইঞ্জিন রাখা হবে মেলা প্রাঙ্গণে।
এর পাশাপাশি মেডিক্যাল ইউনিটও থাকছে। মেলায় পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণ গত বছরের মতো নিয়মিত সাফাইয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। মেলায় বিন, ভ্যাট পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হবে। থাকছে পরিবেশবান্ধব শৌচাগারও।
তবে গত বছরে বইপ্রেমীরা সমস্যায় পড়েছিলেন মোবাইল নিয়ে। নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়েছিল। বিক্রেতারাও বেচাকেনা করতে সমস্যায় পড়েছিলেন। সেই সমস্যা কাটাতে চারটি মোবাইল ইন্টারনেট টাওয়ারও থাকছে এ বার।