ফাইল চিত্র।
গঙ্গার ধারের মিলেনিয়াম পার্ক নিয়ে এ বার ফাঁপরে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বন্দরের জমিতে ওই উদ্যান তৈরির জন্য কেএমডিএ-র সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে ফের চুক্তি না করলে অথবা বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র না পেলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই উদ্যান। যদিও কেএমডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, আনলক পর্বে শহরের বিনোদন পার্কগুলি জনসাধারণের জন্য ফের খুলে দেওয়ার আগেই কলকাতা বন্দরের সঙ্গে ওই চুক্তির পুনর্নবীকরণের কাজ সেরে ফেলতে চান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মিলেনিয়াম পার্কের ব্যাপারে চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হবে। এই পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ করে কেএমডিএ। তা ছাড়াও শহরের গঙ্গার ঘাটগুলির সংস্কার নিয়েও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট আমলে ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়েছিল এই মিলেনিয়াম পার্ক। গঙ্গার ঘাটের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অন্যতম অংশ হিসেবেই এই উদ্যান চালু হয়। সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বন্দরের জমিতে নির্মিত এই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে। পরবর্তী কালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এই উদ্যান নতুন করে সাজানো হয়।
নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত এই প্রকল্প তৈরির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০ বছরের জন্য জমি ব্যবহারের অনুমতি পায়। তাই ফের নতুন করে চুক্তি না করলে বা বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র না থাকলে এই মিলেনিয়াম পার্ক বন্ধ করে দিতে হবে। পুরনো চুক্তির মেয়াদ কিছু দিন আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে চলতি বছরেই নতুন করে ওই চুক্তির পুনর্নবীকরণ করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেএমডিএ।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, এই উদ্যানের গঙ্গা তীরবর্তী অংশ মজবুত করতে সেখানে শালবল্লা বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করেছে কেএমডিএ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে বর্তমানে ওই উদ্যান বন্ধ রয়েছে। তবে আনলক-পর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেতে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কলকাতা বন্দরের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “মিলেনিয়াম পার্কের সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ফের তা করতে হবে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের সৌন্দর্যায়নের স্বার্থেই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির প্রয়োজন।’’