আর জি কর সেতুর ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করতে চায় কেএমডিএ।—ফাইল চিত্র।
চিৎপুর সেতু এবং আর জি কর সেতুর ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করতে চায় কেএমডিএ। সূত্রের খবর, পরীক্ষা চলাকালীন দুই সেতু দিয়ে যাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে, তার জন্য সংস্থার তরফে পুলিশকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে কবে যান চলাচল বন্ধ রেখে ওই পরীক্ষা করা হবে, সেই বিষয়ে লালবাজারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে সূত্রের খবর।
বাস-লরির জন্য টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পরে সার্কুলার খালের উপরে তৈরি এই দুই সেতুর গুরুত্ব বেড়েছে। কাশীপুর-চিৎপুরের সঙ্গে বাগবাজারের সংযোগকারী চিৎপুর সেতু দিয়ে প্রতিদিন উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলির মধ্যে ছোট গাড়ি যাতায়াত করছে। আবার টালা সেতুতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আর জি কর হাসপাতালের কাছে অবস্থিত আর জি কর সেতু দিয়ে চলাচল করছে উত্তর শহরতলির সমস্ত যাত্রিবাহী বাস এবং মিনিবাস।
সূত্রের খবর, চিৎপুর এবং আর জি কর— দু’টি সেতুই দীর্ঘদিন আগে তৈরি। টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পরে সেগুলিতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আবার টালা সেতু ভাঙা হলে ওই দুই সেতু দিয়েই সব গাড়ি যাতায়াত করবে। ফলে বর্তমানে সেতু দু’টির কী অবস্থা, তা জানার জন্যই ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, রাত ১২টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা করা হবে বলে কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই দু’টি সেতু একই সময়ে বন্ধ রেখে ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক হয়েছে। মূলত ছুটির দিন এই পরীক্ষার অনুমতি মিলতে পারে বলে সূত্রের খবর।
রাতে ওই দু’টি সেতু বন্ধ থাকলে যান চলাচলে তেমন প্রভাব না পড়লেও প্রাথমিক ভাবে লালবাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই সময়ে ক্যানাল ইস্ট ও ক্যানাল ওয়েস্ট রোড, গ্যালিফ স্ট্রিট এবং পি কে মুখার্জি রোড দিয়ে সব গাড়িকে পাঠানো হবে।