বর্জ্য আলাদা করার কাজ হবে আরও ২০টি ওয়ার্ডে

পুরসভার কঠিন বর্জ্যের তালিকায় রয়েছে পচনশীল এবং অপচনশীল জিনিস। পচনশীল বলতে প্রধানত বোঝায় আনাজ, ফলমূল, মাছ, মাংস-সহ খাবারের উচ্ছিষ্ট। আর প্লাস্টিক, লোহালক্কড়, কাঠ ও কাচ জাতীয় জিনিস হল অপচনশীল।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

পরিবেশ বাঁচাতে এ বার শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পচনশীল (বায়োডিগ্রেডেবল) এবং অপচনশীল (নন-বায়োডিগ্রেডেবল) বর্জ্য আলাদা ভাবে সংগ্রহ করবে কলকাতা পুরসভা। বর্তমানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে শহরের সাতটি ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দিচ্ছে পুরসভা। দিন কয়েকের মধ্যে আরও ২০টি ওয়ার্ড ওই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে জানান পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘২০২০ সালের মধ্যে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ওই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।’’

Advertisement

পুরসভার কঠিন বর্জ্যের তালিকায় রয়েছে পচনশীল এবং অপচনশীল জিনিস। পচনশীল বলতে প্রধানত বোঝায় আনাজ, ফলমূল, মাছ, মাংস-সহ খাবারের উচ্ছিষ্ট। আর প্লাস্টিক, লোহালক্কড়, কাঠ ও কাচ জাতীয় জিনিস হল অপচনশীল। কলকাতার মাত্র সাতটি ওয়ার্ড ছাড়া এত দিন ওই দুই ধরনের বর্জ্যই একইসঙ্গে তুলত পুরসভা।

তা ফেলা হত ধাপার মাঠে। তাতে পরিবেশ দূষণও বাড়ত। গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় পরিবেশ আদালত এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে পুরসভাকে। পুরসভা বলেছিল, ২০১৬ সাল থেকে বর্জ্য সংগ্রহের এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। সম্প্রতি শহরের দূষণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছেন, কলকাতার সব ক’টি ওয়ার্ডেই দ্রুত ওই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

Advertisement

কী করা হবে ওই পদ্ধতিতে? দেবব্রতবাবু জানান, পুরসভা দরপত্রের মাধ্যমে কোনও একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করবে। সেই সংস্থাই বর্জ্য আলাদা করার কাজ করবে।

পুরসভা সূত্রের খবর, পরিবেশ আদালতের চাপ রয়েছে। তাই ২০২০ সালের মধ্যেই সব ক’টি ওয়ার্ডে এই ব্যবস্থা চালু করে দিতে হবে। দেবব্রতবাবু জানান, দু’ধরনের বর্জ্য আলাদা ভাবে সংগ্রহ করা নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিজ্ঞাপন দেবে পুরসভা। তাতে লেখা হবে, নিজের বাড়িতে অপচনশীল বর্জ্য আলাদা পাত্রে রাখুন। এক দিন অন্তর পুরসভার লোক গিয়ে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করবে।

অপচনশীল বর্জ্য মাটির সঙ্গে মিশলে তা অন্য ভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে। পরিবেশকর্মীরা এ নিয়ে একাধিকবারই সতর্ক করেছেন। ফলে প্রশ্ন সেই জঞ্জাল ফেলা হবে কোথায়?

ওই দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, অপচনশীল বর্জ্য তোলার সময়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার প্রাথমিক ভারও নেবেন ওই কর্মীরা। পরে সেই বর্জ্য লরি কিংবা ছোট গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধাপার মাঠে ওজন করানো হবে। কিন্তু সেখানে তা ফেলা হবে না। ওজন করানোর পরে সেই বর্জ্য আবার নিয়ে যাওয়া হবে রাজ্য পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ স্বীকৃত কারখানায়। সেখানে ওই বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement