KMC

KMC: সম্পত্তিকর থেকে বঞ্চিত পুরসভা, সমাধানে জোর মিউটেশনে

কলকাতা পুর এলাকায় জমি-বাড়ি কিনলেই পুরসভা থেকে মিউটেশন করাতে হয়৷ তবেই করদাতা হিসাবে নাম নথিভুক্ত হয় পুরসভায়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ০৬:৫৯
Share:

ফাইল চিত্র।

আয় বাড়াতে মিউটেশনের উপরে জোর দিতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। এর জন্য শহরের সমস্ত সম্পত্তির দ্রুত মূল্যায়ন করতে চায় পুরসভা। সম্প্রতি কলকাতা পুরভবনে কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে শহরের সমস্ত সম্পত্তিকে মিউটেশনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, শহরের সমস্ত সম্পত্তির মূল্যায়ন করা সম্ভব হলে এক দিকে পুরসভার আয় যেমন বাড়বে, তেমনই নাগরিকদেরও ফ্ল্যাট বা বাড়ি সুরক্ষিত থাকবে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে শহরে কয়েক লক্ষ সম্পত্তির মিউটেশন বাকি রয়েছে। মিউটেশন না হওয়ায় নাগরিকেরা অসুবিধায় পড়ছেন। অন্য দিকে, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিকর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পুরসভা৷ অনেকের আবার অভিযোগ, মিউটেশন করাতে গেলে পুরকর্মীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষত, কলোনি এলাকার বাসিন্দারা মিউটেশন করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। শনিবার মেয়র জানিয়েছেন, কলোনি এলাকায় শিবির করে মিউটেশন করা হবে। পুরভবনে মিউটেশন করাতে আসা একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মেয়র মিউটেশনের বিষয়ে অনেক সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণাকরলেও পুরসভায় এসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

কলকাতা পুর এলাকায় জমি-বাড়ি কিনলেই পুরসভা থেকে মিউটেশন করাতে হয়৷ তবেই করদাতা হিসাবে নাম নথিভুক্ত হয় পুরসভায়৷ তার ভিত্তিতে পুরসভা সম্পত্তিকর আদায় করে থাকে৷ মাস কয়েক আগে মেয়র ‘দুয়ারে মিউটেশন’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেও এখনও সে ভাবে তার প্রভাব পড়েনি বলে অভিযোগ। প্রতি ওয়ার্ডে শিবির করে মিউটেশনের প্রক্রিয়া চালু করার ওই প্রকল্পে মিউটেশনের নথি নেওয়া থেকে শুরু করে আবেদনপত্রও মেলার কথা। কিন্তু অভিযোগ, তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সমস্ত ওয়ার্ডে শিবির তেমন ভাবে চালু হয়নি। নামমাত্র কয়েকটি ওয়ার্ডে এই কাজ হয়েছে।

Advertisement

পুরসভার কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বছরের পর বছর বহু সম্পত্তির মূল্যায়ন না হওয়ায় পুরসভার বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষত কলোনি এলাকার বাসিন্দারা পুরসভার যাবতীয় পরিষেবা পাচ্ছেন, কিন্তু মিউটেশন না হওয়ায় তাঁরা সম্পত্তিকর দিচ্ছেন না।

ওই বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘মিউটেশনের উপরে আমাদের বাড়তি নজরদারি রয়েছে। এর জন্য কর রাজস্ব বিভাগে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক হয়ে থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সমস্ত সম্পত্তির যাতে মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়, তার জন্য আধিকারিকদের জোর দিতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement