ফািল চিত্র।
পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায়ই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। পাম্প খারাপ হওয়ার আগে কোথায় এবং কী কারণে সমস্যা হচ্ছে তা জানতে পারলে হঠাৎ করে পাম্প বিকল হওয়ার ঘটনা এড়ানো যায়। সে কথা মাথায় রেখেই কলকাতা পুরসভা গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্পে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীকালে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে, সেখানেও এই পদ্ধতি চালু করা হবে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, নতুন এই প্রযুক্তিতে জল সরবরাহ দফতরের সব ক’টি পাম্প ও তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রগুলি ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা বলে দেবে কম্পিউটার। এ বিষয়ে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কোথাও কোনও ত্রুটি দেখা দিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে।
প্রয়োজনে তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই পাম্প বা মোটর এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা হবে। সংক্ষেপে এই পদ্ধতিকে ‘স্কাডা’ (সুপারভাইজ়িং কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজ়িশন) বলা হয়ে থাকে।
কর্তৃপক্ষ জানান, ঘণ্টায় একটি পাম্প কত পরিমাণে জল তোলে, তার জন্য কত পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন, পাম্প চালানোর জন্য মোটর চলছে কি না, বা চললেও তার গতি কী— তার সমস্ত খুঁটিনাটি এই পদ্ধতিতে জানা সম্ভব। একটি পাম্পের মোটর ঠিক ভাবে চলছে কি না, এই তথ্য থেকেই প্রাথমিক ভাবে তা ধরা পড়তে পারে।
পুজোর আগেই গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্পে নতুন পাম্পিং স্টেশনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। আগামী দিনে নতুন যে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে, সেখানেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে পুরসভা।
প্রশ্ন উঠেছে পুরনো যে সমস্ত বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বা জলপ্রকল্প রয়েছে সেখানেও কি এই প্রযুক্তি চালু হতে পারে?
কর্তৃপক্ষ জানান, পুরনো পলতা জলপ্রকল্পের পাম্পিং স্টেশনে এবং শহরের আরও অনেক পুরনো বুস্টার পাম্পিং স্টেশনে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত করা সমস্যা। কারণ, পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি পাম্পের কার্যকারিতা পরিবর্তন করে নতুন করে তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ছাড়াও ব্যয়সাপেক্ষ।