প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই চূড়ান্ত হবে প্রশাসকমণ্ডলীতে কারা থাকছেন। বৃহস্পতিবার বিধাননগরের নগরায়ণ ভবনে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত-সহ অন্য পদস্থ কর্তারা।
পুর মহলের খবর, অতীতেও প্রশাসক বসানো হয়েছিল। তবে এ বার পরিস্থিতি আলাদা। পুরভোটের ঠিক আগে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সব ভেস্তে যায়। প্রশাসকমণ্ডলী বসার পরে ২০১৫ সালে নির্বাচিত পুরবোর্ড ও কাউন্সিলরদের কাজের মেয়াদ শেষ হবে। তার পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুর পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সরকারের। করোনা-সঙ্কটের সময়ে স্থানীয় ভাবে পরিষেবা পেতে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় শহরবাসী। পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে। ৮ মে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সাধারণ সভা হয়। কলকাতা পুরসভার আইন (১৯৮০) অনুসারে প্রথম সাধারণ সভা থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাউন্সিলরদের মেয়াদ থাকে। ফলে বর্তমান বোর্ডের ক্ষমতা ৭ মে পর্যন্ত।
পুরসভার বর্তমান আইনে প্রশাসক বসানো নিয়ে সরাসরি বিধান দেওয়া নেই। তাই অধ্যাদেশ জারি করে প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর ব্যবস্থা করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর আইনের ৬৩৪ নম্বর ধারায় ‘রিমুভাল অব ডিফিকাল্টিজ’ অর্থাৎ অসুবিধা দূর করার কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ পুর প্রশাসন পরিচালনায় কোনও অসুবিধা হলে রাজ্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে। পুরসভা জানাচ্ছে, এই ধারা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য। তাই ওই ধারার বলেই অধ্যাদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রশাসক বসানোর প্রস্তাব নবান্নের একটি দফতরে পাঠিয়েছিল। সবুজ সঙ্কেত মেলায় এ দিনের বৈঠকে প্রস্তাবটি রাজ্য সরকারের কাছে আইনি পরামর্শের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। আজ, শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন রাজ্য সরকারের ছুটি। ৭ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। তাই আগামী সপ্তাহের প্রথম তিন দিনেই ওই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।