বুধবার শুরু হল ব্রিগেড সাফাইয়ের কাজ। —ফাইল চিত্র।
গত শনিবার, ১৯ জানুয়ারি হয়েছে ব্রিগেডের সমাবেশ। বুধবার বিকেল পর্যন্ত বোজানো হয়নি ওই মাঠে হওয়া প্যান্ডেলের খুঁটির গর্ত।
সরানো হয়নি পুলিশের গার্ড রেল। খোলা বাকি মূল মঞ্চের কিছু কাঠামোও। এ দিকে ওই মাঠের মালিকপক্ষ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ, আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিষ্কার করে দিতে হবে ব্রিগেড। নিতে হবে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। তাই অবশেষে বুধবার শুরু হল সাফাইয়ের কাজ।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে পুরভবনে নেতাজি মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিষটি দেখতে পান। এর পরেই তিনি পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে দ্রুত ওই মাঠ পরিষ্কার করানোর নির্দেশ দেন।
মাঠে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সীও। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ এবং সিভিল দফতরের আধিকারিকেরা তোড়জোর শুরু করে দেন। যুদ্ধকালীন পরিস্তিতিতে কাজে নামে কলকাতা পুরসভা। গর্ত বোজাতে পাঠানো হয় লরি ভর্তি বালি। জঞ্জাল অপসারণ দফতরের প্রায় শ’খানেক কর্মী বালি, মাটি নিয়ে গর্ত বোজানোর কাজে নামেন।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের এক অফিসারের দাবি, প্যান্ডেলের কাজ করেছে যে ডেকরেটর, গর্ত বোজানো ও সময়ে প্যান্ডেল খোলার দায়ও তাদের। গার্ড রেলের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা সময়ে কাজ শেষ না করায় এখনও মাঠ পরিষ্কার করা যায়নি বলে দাবি তাঁর। ওই অফিসারের কথায়, পুরসভার কাজ ছিল সময়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করা। সমাবেশের পরেই তা করা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, মাঠ জুড়ে পড়ে শ’খানেকেরও বেশি গার্ড রেল। যেখানে মূল মঞ্চগুলি হয়েছিল, সেই সব জায়গায় সার দিয়ে খুঁটির গর্ত। তা বোজানোর কাজ শুরু করছেন পুরকর্মীরাই।
তবে মূল মঞ্চ খোলার কাজ তখনও বাকি। বেশ কিছু বাতিও রয়ে গিয়েছে মাঠে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে তা খুলে নিতে বলা হয়েছে। পুরকর্মীদের বক্তব্য, ওই কাজ না হলে মাঠ পুরো সাফ করতে পারছেন না তাঁরা। এ দিকে পুলিশের এক কর্তা জানান, গার্ড রেল সরানোর জন্য দু’টি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে ফেলা হবে।
এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সাফাইয়ের পুরো কাজ শেষ না হলেও পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ‘নির্দেশ’ মাথায় রেখেই আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।