প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপটে শহরে উপড়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫০০০ গাছ। এই বিপুল ক্ষতি পূরণের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। উপড়ে যাওয়া কিছু গাছ ফের বসানোর পাশাপাশি দু’-তিন বছর বয়সি গাছ লাগানোরও পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি বর্ষায় চারা রোপণ করে এ বার এলাকার বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।
এ কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে তাঁরা গাছ বাঁচাতে বেশি তৎপর হবেন বলে পুর আধিকারিকদের ধারণা। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা পুরসভার উদ্যান বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘গাছের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতেই বাসিন্দাদের বৃক্ষরোপণের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। শুধু তা-ই নয়, গাছের উপকারিতাও বোঝানো হবে তাঁদের।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, বছর ছয়েক আগেও গাছ বাঁচাতে বাসিন্দাদের নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনও কিশোর-কিশোরীকে দিয়ে তার বাড়ির সামনেই গাছ বসানোর কথা বলা হবে। তাদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গাছেরও বৃদ্ধি হবে। তাতে গাছটির সঙ্গে ওই ছেলে-মেয়েদের মানসিক বন্ধন গড়ে উঠবে। গাছের দেখভালও ঠিকঠাক হবে। কিন্তু প্রচারের অভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে দেবাশিসবাবু জানান।
পুরসভা সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের নিয়মানুযায়ী, সহজে ভেঙে পড়ে এমন গাছ নতুন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে লাগানো হবে না। গাছ রোপণ করার সময়ে নিয়ম মেনেই ১০ ফুট অন্তর তা লাগাতে হবে। গাছগুলি সহজে যাতে পড়ে না যায়, সে জন্য কাণ্ডটি মাটির অন্তত দু’ফুট ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে। যেখানে গাছ বসানো হবে, সেখানকার মাটির ঘনত্ব যেন বেশি থাকে, তা-ও খেয়াল রাখা হবে।