KMC

বহু নির্দেশ, তবু নির্মাণ বর্জ্যের নিয়ম মানছে না পুরসভাই

এ দিন মেয়র, মেয়র পারিষদ নিজেরা বেরিয়েছিলেন বলে হয়তো বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু শহরের বহু জায়গায় যত্রতত্র এমন আবর্জনা পড়ে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৮
Share:

অস্বাস্থ্যকর: রবীন্দ্র সরোবর চত্বর থেকে সরানো হয়নি নির্মাণ বর্জ্য-সহ অন্য আবর্জনা। দেখছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

প্রতি বছর দেশে প্রায় আড়াই কোটি টন নির্মাণ-বর্জ্য তৈরি হয়। যা থেকে অনেকাংশে বাড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা। এমন তথ্যই উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে।

Advertisement

সেই দূষণ রুখতে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ‘কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেমলিশন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল্‌স’ জারি করে। তার পরে আবার ‘ডাস্ট মিটিগেশন’ নির্দেশিকাও জারি করা হয়। সেখানে নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ এবং ভাঙাভাঙির কাজের সময়ে কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা স্পষ্ট করে বলে দেয় পরিবেশ মন্ত্রক। জাতীয় পরিবেশ আদালতও নির্মাণ-বর্জ্য রাখা, সংগ্রহ এবং নির্মাণস্থল থেকে ওই বর্জ্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্তু তার পরেও শহরের অনেক জায়গায় যে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না, রবিবার পরিদর্শনে বেরিয়ে তা দেখলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, জঞ্জাল অপসারণ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার-সহ পুরকর্তারা। এ দিন সার্দার্ন অ্যাভিনিউয়ের ধারেই স্তূপীকৃত নির্মাণ বর্জ্য-সহ অন্য আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। কেন ওই বর্জ্য ওখানে পড়ে থাকল, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন পুরকর্তারা। তা পরিষ্কারের জন্যও সক্রিয় হন পুর কর্তৃপক্ষ। তার পরে সেখান থেকে অন্যত্র যান তাঁরা।

Advertisement

যদিও পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। এ দিন মেয়র, মেয়র পারিষদ নিজেরা বেরিয়েছিলেন বলে হয়তো বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু শহরের বহু জায়গায় যত্রতত্র এমন আবর্জনা পড়ে থাকে। এক পুরকর্তা জানাচ্ছেন, সারা শহর জুড়ে নজরদারি চালানোর মতো যে পরিকাঠামো বা লোকবল দরকার, তা পুরসভার নেই। কিন্তু তার মধ্যেই তারা চেষ্টা করছে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ যদি নিজের বাড়ির সামনেই আবর্জনা ফেলে রাখেন বা বাড়ির পাশের ফাঁকা জায়গায় আবর্জনা ফেলেন, তা হলে তো সেখানে পুরসভা কিছু করতে পারবে না।’’ দেবব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘শুধু নির্মাণ-বর্জ্য নয়। সামগ্রিক ভাবেই শহরকে জঞ্জালমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর নির্মাণ-বর্জ্য নিয়ে প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সে প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement