Kolkata Municpal Corporation

অর্থবর্ষ শেষের মুখে তিন সংযোজিত এলাকায় কমল সম্পত্তিকর আদায়

কর রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সম্পত্তিকর আদায় ছাড়াও পুকুর জরিপ, ঠিকা জমির নজরদারি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমীক্ষার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলাতে হচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৫
Share:

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে আর তিন মাস বাকি। কিন্তু কলকাতা পুরসভার কোষাগার এখনও তেমন ভাবে ভরেনি। মূলত আয়ের তুলনায় ব্যয়ের বহর বেশি হওয়াই চিন্তা বাড়াচ্ছে আধিকারিকদের। পুরসভার আয়ের একটি বড় অংশ আসে সম্পত্তিকর থেকে। চলতি অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত খুব বেশি টাকা সম্পত্তিকর বাবদ আদায় হয়নি। বিগত অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে আদায় বেড়েছে মাত্র ৯.৭৮ শতাংশ। আবার, ১১ ও ১২ নম্বর বরো এবং জোকা এলাকায় সম্পত্তিকর বাবদ পুর আয় কমে গিয়েছে! পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘সম্পত্তিকর আদায় তুলনামূলক ভাবে বাড়লেও তা একেবারেই সন্তোষজনক নয়।’’

Advertisement

কর রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সম্পত্তিকর আদায় ছাড়াও পুকুর জরিপ, ঠিকা জমির নজরদারি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমীক্ষার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। অপর্যাপ্ত লোকবল নিয়ে এই কাজ করতে গিয়ে খামতি থেকে যাচ্ছে আসল কাজেই।

কর রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তর কলকাতায় সম্পত্তিকর বাবদ আদায় হয়েছে ২০৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। একই সময়ে গত অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ছিল ১৮১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। দক্ষিণ কলকাতায় চলতি অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সম্পত্তিকর আদায় হয়েছে ৪০৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫৩ কোটি ৫০ লক্ষ। ঠিক এর উল্টো চিত্র ১১ ও ১২ নম্বর বরো এবং জোকা এলাকায়। ১১ নম্বর বরো এলাকায় সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ ২৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ১২ নম্বর বরোয় গত বছর যেখানে আদায় হয়েছিল ৮৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা, সেখানে চলতি বছরে তা হয়েছে ৭৯ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। সংযোজিত এলাকা জোকাতেও সম্পত্তিকর বাবদ আয় কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। গত অর্থবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই এলাকায় আদায়ের অঙ্ক ছিল ৩৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। চলতি অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।

Advertisement

যদিও পুর আয় বেড়েছে গড়িয়াহাট টলি ট্যাক্স বিভাগে। গত বছরে সেখানে আদায় হয়েছিল ১০১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। চলতি অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ১১.৩৭ শতাংশ বেশি। আবার, বেহালা বা সাউথ সাবার্বান ইউনিটে সম্পত্তিকর আদায় বেড়েছে তিন কোটি টাকা। গত বছরের ৪৩ কোটি থেকে বেড়ে তা হয়েছে ৪৬ কোটি। গার্ডেনরিচ ইউনিটে পুর আয় বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা। সাড়ে ছ’কোটি থেকে বেড়ে সেই অঙ্ক হয়েছে সাত কোটি। সারা শহরে কর রাজস্ব আদায়ের আটটি বিভাগের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সম্পত্তিকর আদায় হয়েছে এসি (দক্ষিণ) বিভাগ থেকে। গত বছরের তুলনায় ওই বিভাগে কর আদায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

পুরসভার কর রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গার্ডেনরিচ, বেহালা, জোকা এলাকায় সম্পত্তিকর আদায় বাড়ানোর দিকে আগেই নজর দিতে বলেছিলেন মেয়র। কিন্তু ওই এলাকাগুলি থেকে সম্পত্তিকর বাবদ আয় সন্তোষজনক তো নয়ই, বরং কিছু এলাকায় আদায় কমেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement