Garden Reach Building Collapse

গার্ডেনরিচের শিক্ষা, বেআইনি নির্মাণে নজরদারি চালাতে অন্য বিভাগকেও নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভার

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিল্ডিং বিভাগের পাশাপাশি কর নির্ধারণ, পার্কিং এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ কাজ করতে নেমে কোনও বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে বা জানতে পেলে তা কলকাতা পুরসভার নতুন অ্যাপে জানাতে হবে। বেআইনি নির্মাণের ছবি এবং ঠিকানা তুলে দিতে হবে অ্যাপে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৫
Share:

গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় অস্বস্তি কাটছে না কলকাতা পুরসভার। —ফাইল চিত্র।

গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় অস্বস্তি কাটছে না কলকাতা পুরসভার। বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটার পর কলকাতা শহরে বিভিন্ন প্রান্তে উঠতে শুরু করেছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কলকাতা পুরসভা বিল্ডিং বিভাগের পাশাপাশি অন্য বিভাগগুলিকেও সক্রিয় হতে নির্দেশ দিল। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিল্ডিং বিভাগের পাশাপাশি কর নির্ধারণ, পার্কিং এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ কাজ করতে নেমে কোনও বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে বা জানতে পারলে তা কলকাতা পুরসভার নতুন অ্যাপে জানাতে হবে। বেআইনি নির্মাণের ছবি এবং ঠিকানা তুলে দিতে হবে অ্যাপেই।

Advertisement

অ্যাপ মারফত সেই অভিযোগ যাবে কলকাতা পুরসভার ডিজি বিল্ডিংয়ের কাছে। অন্যান্য বিভাগ থেকে পাঠানো সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন ডিজি স্বয়ং। যদি অবৈধ বা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ ধরা পড়ে, তা হলে ব্যবস্থা নেবেন ডিজি। সোমবার থেকে সেই অ্যাপটি পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে। শনিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। যেখানে কলকাতা পুরসভার প্রায় ৩০০ জন ইঞ্জিনিয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কী ভাবে বেআইনি নির্মাণের ছবি এবং ঠিকানা অ্যাপে আপলোড করতে হবে, তা হাতেকলমে শেখানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, “নতুন এই প্রযুক্তি বেআইনি নির্মাণ রুখতে কলকাতা পুরসভার বড় হাতিয়ার হতে চলেছে।”

কিন্তু নতুন এই নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক দাঁনা বেড়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরে। কারণ, কলকাতা পুরসভার ওই সব বিভাগের যাঁরা মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করেন, তাঁদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিল্ডিং বিভাগ নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কোন নির্মাণ আইনি আর কোন নির্মাণ বেআইনি, তা পার্থক্য করার বিষয়েও তাঁরা জ্ঞাত নন। এমতাবস্থায় কী ভাবে এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পুরসভার অন্দরে। তবে নির্দেশিকা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ পুরসভার আধিকারিকরা। আপাতত নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করাই তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement