Building & Revenue

রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে বিল্ডিং এবং রাজস্ব আদায় বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ে জোর কলকাতা পুরসভার

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগকে নিয়ে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট এবং বিল্ডিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ে জোর দিতে বলেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৫
Share:

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল ছবি।

রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে চায় কলকাতা পুরসভা। তাই এ বার রাজস্ব আদায় এবং বিল্ডিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, এই দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে বাড়ির চরিত্র বদল হয়ে গেলেও, রাজস্ব বিভাগের কাছে কোনও খবর থাকছে না। ফলে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব, তা হচ্ছে না। তাই এ বার পুরসভার তরফে এই দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে তথ্য আদান প্রদান করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগকে নিয়ে রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন পুর কমিশনার ধবল জৈন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট এবং বিল্ডিং বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ে জোর দিতে বলেছেন তিনি। গত কয়েক বছরের রাজস্ব আদায় পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে সমন্বয় রক্ষা করে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত অর্থবর্ষে কলকাতা পুরসভার রাজস্ব আদায় আশানুরূপ হয়নি। গত বছরের তুলনায় পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ ঘাটতি চলছে। এই বিষয়টি নজরে আসার পরেই অ্যাসেসমেন্ট, পার্কিং, জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লাইসেন্স বিভাগ-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুর আধিকারিকেরা। সেখানে প্রতিটি বিভাগ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পুর কমিশনার রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগে কী কী ফাঁকফোকর রয়েছে, কোথায় কর্মী সংখ্যা বাড়াতে হবে, কোন খাতে আরও রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে— এই বিষয়গুলি জানতে চান। বিল্ডিং এবং রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের থেকে যাবতীয় তথ্য এবং পরিসংখ্যান জানার পরেই এই নির্দেশ দেন পুর কমিশনার।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের একাংশ বা পুরোটাই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা পুরনো নিয়মেই কর নিয়ে যাচ্ছি। এই বিষয়টি বিল্ডিং বিভাগের থেকে জেনেই বাণিজ্যিক হারে কর নেওয়া চালু হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিল্ডিং বিভাগের নিয়ম রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ‘চেঞ্জ অব ইউজ়’ বদল করতে হয়। আমরা করের হার বদলের সিদ্ধান্ত বিল্ডিং বিভাগে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটা নিয়মিত নয়। তাই এবার থেকে এই ধরনের কেস পেলে নিয়মিত বাধ্যতামূলক ভাবে বিল্ডিং বিভাগকে পাঠাতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement