প্রতীকী ছবি
ছিলেন মেয়র, হবেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান। মেয়র পারিষদেরা হবেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য। কলকাতা পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষে কাল, শুক্রবার থেকে নতুন এই ব্যবস্থাই চালু হবে।
বুধবার দুপুরে এই মর্মে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তাতে বলা হয়েছে, আগামী পুর ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের প্রথম সাধারণসভা না-হওয়া পর্যন্ত এই প্রশাসকমণ্ডলী পুর প্রশাসন পরিচালনা করবে। মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র ছাড়া তাতে থাকছেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, সামসুজ্জামান আনসারি, তারক সিংহ, ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, আমিরুদ্দিন ববি, মনজ়ার ইকবাল, রতন দে, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রামপিয়ারি রাম।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, প্রশাসক বসানোর দৃষ্টান্ত আগে থাকলেও পুর বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে প্রশাসকমণ্ডলী গঠন এই প্রথম। তাই এর নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।
প্রাক্তন মেয়র, সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঘুরপথে সংবিধান অমান্য করে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। আইনে এমন বিধানই নেই।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলছেন, ‘‘এটা আইন-বিরুদ্ধ।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আগেও ওরা অনেক পুর নির্বাচন করায়নি। এখন করোনার অজুহাত দিচ্ছে। ফিরহাদকে প্রশাসক করে দলের শাসন কায়েম রাখল। আমরা আইনি সাহায্য নিতে পারি।’’
যদিও মেয়রের বক্তব্য, ‘‘এই পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি না থাকলে লড়াই করা শক্ত। বোর্ডের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ও নির্দেশেই সব হয়েছে।’’ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসক নিয়োগের পক্ষে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে করোনা সঙ্কটকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পুর পরিষেবা দিতে জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসকমণ্ডলীতে রাখা জরুরি। যদিও বরো চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের কথা উল্লেখ নেই। মেয়র জানান, প্রশাসকমণ্ডলী দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত নেবে।