ছবি: সংগৃহীত।
করোনা পরিস্থিতিতে পুর ভোট না-হওয়ায় নতুন বোর্ড গঠন হয়নি।
সে কারণে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ আগে জানিয়েছিলেন, চলতি আর্থিক বছরের আগামী ছ’মাসের জন্য (অক্টোবর-মার্চ) ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করা হবে। কিন্তু প্রথাগত ভাবে না-হলেও মঙ্গলবার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে ওই সময়ের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হল। এ দিন ১৭১ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করেন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের যুক্তি হিসেবে আইন বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রাক্তন মেয়র পারিষদদের হাতে যে ক্ষমতা ছিল, রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি হওয়ার পরে তার সদস্যদের হাতেও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয়েছে।’’ ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তিকালীন পুর বাজেটের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। অক্টোবর থেকে যাতে অর্থাভাবে পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যা না-হয়, সেই কারণেই বাজেট বরাদ্দ করা হল।’’
চেয়ারম্যান জানান, পুর নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশাসকমণ্ডলী কাজ চালিয়ে যাবে। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি সর্বোচ্চ আদালত। ফিরহাদ বলেন, ‘‘এই অবস্থায় নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আয় এবং ব্যয়ের হিসেব প্রয়োজন। পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরোলেও সেই পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে পুর ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে গত অর্থবর্ষে বরাদ্দ ছিল ১৫৮.৮৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৩.৪৭ কোটি টাকায়। জঞ্জাল অপসারণ দফতরে বাজেট বরাদ্দ ৪০৫.৩৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০৬ কোটি টাকা করা হয়েছে। পানীয় জল সরবরাহ দফতরে বরাদ্দ হয়েছে ৪০৮.১২ কোটি টাকা।
বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুর কর্তৃপক্ষ গত মার্চে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করেছিলেন। তার মেয়াদ ছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে সময়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচিত পুর বোর্ড এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আদালত পুর প্রশাসকমণ্ডলীকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।