প্রতীকী ছবি।
প্রবেশিকা নয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে শুধু শেষ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়ার যে নির্দেশ উচ্চশিক্ষা দফতর দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে প্রতিবাদ জানাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)।
এক চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জুটা জানিয়েছে, এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপেরই নামান্তর। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে একমাত্র ভর্তি কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী। শুধু তা-ই নয়, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইতিহাস ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিত অনুযায়ী ভর্তি, পঠনপাঠন, পাঠ্যক্রম ইত্যাদি বিষয়ে নীতি ঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। করোনার সময়েও যাদবপুরে সব পক্ষের মতামত নিয়েই তা হয়ে আসছে। অতিমারির দোহাই দিয়ে তা অস্বীকার করা শিক্ষা বিরোধী। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ রাজ্য সরকার দিলেও, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা সম্প্রতি হয়েছে। পার্থপ্রতিমবাবু এ দিন বলেন, ‘‘দুই সিদ্ধান্তের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি নেওয়া হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মাধ্যমে। অথচ কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।’’
চিঠিতে এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। জুটা মনে করছে, স্নাতক স্তরে পড়ুয়ারা যে বিষয়টি পড়তে চাইবেন, তাতে তাঁর গুণগত মান, দক্ষতা, আগ্রহ যাচাইয়ের জন্য প্রবেশিকার প্রয়োজন। এই রাজ্যেই বেসরকারি ও স্বশাসিত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিধিনিষেধ নেই। অথচ, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রবেশিকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রকৃত মেধাবী ছাত্রছাত্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দিক থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাদবপুর বঞ্চিত হবে বলে মত জুটা-র।