শনিবার রাতে ধর্মতলার অবস্থানমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারেরা। —নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের মঞ্চে বায়ো টয়লেটের বন্দোবস্তের অনুমতি চেয়ে পুলিশকে ইমেল করা হল। শনিবার রাতেই জুনিয়র ডক্টরস’ ফ্রন্টের তরফে ইমেল করা হয়েছে লালবাজারে। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা বন্দোবস্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও জবাব আসেনি বলে সূত্রের খবর।
পুলিশকে পাঠানো ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের পাশে আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসছি। অনশনে পুরুষ এবং মহিলা আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে মহিলাদের জন্য একটি এবং পুরুষদের জন্য একটি বায়ো টয়লেট বসানো প্রয়োজন। যাঁরা অনশনে অংশগ্রহণ করছেন, একমাত্র তাঁরাই ওই বায়ো টয়লেট ব্যবহার করবেন। অন্য কেউ নয়। আমাদের সেই বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দেওয়া হোক।’’
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, শনিবার থেকেই বায়ো টয়লেট বসানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দিচ্ছে না। রবিবার সকালে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারী চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্য বলেন, ‘‘বায়ো টয়লেটের জন্য আমরা পুলিশকে ইমেলও করেছিলাম। আমাদের সে সব আনতে দেওয়া হচ্ছে না। বলা হয়েছে, ওদের বড়বাবু আসার আগে বায়ো টয়লেট নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তিনি ১১টার পর আসবেন। চিকিৎসার সময় কি আমরা বলি, বড়রা কেউ না এলে আমরা পরিষেবা দেব না? এটা অমানবিক, নিন্দনীয়, ঘৃণ্য।’’
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ধর্মতলা থেকে সংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারেরা ঘোষণা করেছিলেন, কর্মবিরতি তুলে নিলেও যত দিন পর্যন্ত না তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে, তত দিন অবস্থান চালিয়ে যাবেন। তাঁরা এ-ও জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার তাঁদের দাবি না মানলে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করবেন। সেই মতো শনিবার থেকেই ‘আমরণ’ অনশনে বসেছেন ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার।