ফাইল চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত নন, এমন রোগীদের ভর্তির দাবিতে সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড হাসপাতালে নন-করোনা রোগীদের ভর্তি করা না-হলে অবস্থান-বিক্ষোভের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হল। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের মত, কোভিড পরিস্থিতি বুঝতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানান, গত ১৬ জুন যে সব মেডিক্যাল কলেজ কোভিড হাসপাতাল হয়েছে, সেখানে অন্য রোগেরও চিকিৎসা হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অন্য অসুখে আক্রান্তদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন অধ্যক্ষা এবং উপাধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’-এর সম্পাদক কৌশিক চাকী জানান, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বন্ধ রয়েছে। নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করানোর জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বলা হচ্ছে। কিন্তু যে সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বহু মানুষের ভরসা, সেখানে কোভিড ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ কেন?
রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কোভিড-পরিস্থিতি উপলব্ধি না করে এমন কথা বলা হচ্ছে। তাঁরা জানান, সারা দেশেই বিভিন্ন রাজ্যের সরকার লক্ষ লক্ষ শয্যার ব্যবস্থা করছে। এখন আক্রান্তের সংখ্যা বিচার না করে আগামী দিনে কী হতে পারে, তা ভেবে পরিকল্পনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। এখন হয়তো রোগী নেই। কিন্তু আচমকা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়লে কী হবে?
প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং এম আর বাঙুর ছাড়া বাকি সরকারি হাসপাতালগুলিতে নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালে সব ধরনের চিকিৎসা হয়। জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের এ বিষয়গুলিও বুঝতে হবে।