ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চ। —ফাইল চিত্র।
১০ দফা দাবি নিয়ে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দাবিতে গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে তাঁদের আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকারের তরফে সাড়া মিলছে না। ইতিমধ্যে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পাঁচ জন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের পরবর্তী অভিমুখ কী হওয়া উচিত, তা স্থির করতে শুক্রবার সিনিয়রদের আবার বৈঠকে ডাকলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
সিনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বার্তায় জুনিয়রেরা লিখেছেন, ‘‘আমরা অনশনের ১৩ তম দিনে রয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের ছ’জন সহযোদ্ধাকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেখেছি। আমাদের ১০ দফা দাবি নিয়ে সরকার কোনও কথা বলছে না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে অফলাইন মাধ্যমে একটি বৈঠকের আয়োজন করছি। আপনাদের সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি। দাবি আদায়ের জন্য আমরা সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারেরা একত্রে কী নতুন পদক্ষেপ করতে পারি, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এই বৈঠক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জেনারেল লেকচার থিয়েটারে বৈঠক হবে। আমাদের অনুরোধ, আপনারা প্রতি সংগঠন থেকে অন্তত দু’জন সদস্যের দল পাঠান বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য।’’
উল্লেখ্য, আন্দোলনের অভিমুখ ঠিক করতে বৃহস্পতিবারও সিনিয়রদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অনলাইন মাধ্যমে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক কিছু ত্রুটির কারণে বৈঠক সম্পূর্ণ হয়নি। তা থেকে কোনও সিদ্ধান্তেও আসা যায়নি। সেই কারণেই শুক্রবার আবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। আইএমএ থেকে শুরু করে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
দাবি আদায়ের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আবার চিঠি লেখার পরিকল্পনা রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। সূত্রের খবর ওই চিঠিতে মূলত, আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির দাবি জানাবেন তাঁরা। আরজি কর-কাণ্ডের চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম রয়েছে। তবে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। তাঁদের নাম কেন চার্জশিটে নেই, তা-ও জানতে চাইতে পারেন ডাক্তারেরা। রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হতে পারে ১০ দফা দাবির কথাও। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ইতিবাচক উত্তর এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ভাবনাও রয়েছে ডাক্তারদের।