R G Kar Medical College and Hospital Incident

পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, আরও তিন কর্তার ইস্তফা দাবি

পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফা দাবি করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৪
Share:

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসা পরিষেবার কাজে ফেরার নির্দেশে দেওয়ার পরেই আবার আন্দোলন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল আরজি-কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চাইলেন তাঁরা।

Advertisement

সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁদের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। এই দাবিপূরণের জন্য, মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি।

এই আবহে সোমবারের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ফিরতে হবে তাঁদের। না ফিরলে রাজ্যের কোনও পদক্ষেপে বাধা দেবে না শীর্ষ আদালত। এর আগে পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা-সহ বিভিন্ন দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। যে পাঁচ দফা দাবির কথা তাঁরা তুলেছিলেন, সেগুলি হল— প্রথমত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। দ্বিতীয়ত, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার। তৃতীয়ত, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা। চতুর্থত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। পঞ্চমত, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement