School Reopening

School reopen: চৌকাঠ পেরোনোর খুশিতে উবে গেল পরীক্ষা-ভীতি

গল্পই শেষ হচ্ছিল না স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির অয়ন, দেবরাজ, সায়নদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

১ বছর ৮ মাস ১১ দিন! ওদের হিসাব বলছে, একটানা এত দিন স্কুলে আসেনি ওরা। তাই ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভের (ন্যাস) পরীক্ষা দিতে এসে স্কুলের চৌকাঠ মাড়িয়ে উচ্ছ্বসিত খুদে পড়ুয়ারা।

Advertisement

স্কুলে আসার আগেই হিসাব কষে নিয়েছিল স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির অভিনব পাল। স্কুল চত্বরে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে গল্পের ফাঁকেই বলে উঠল, ‘‘১ বছর ৮ মাস ১১ দিন পরে স্কুলে এলাম। বন্ধুদের সঙ্গে কত দিন পরে খেলতে পারলাম!’’ অভিনবের পরের প্রশ্নটাই ছিল, ‘‘স্কুল কবে খুলবে?’’ স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট, সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়, ক্যালকাটা গার্লস, পাঠভবন কিংবা সাউথ পয়েন্টে ন্যাস দিতে আসা অধিকাংশ পড়ুয়া, অভিনবের মতোই খুশি। নিয়মিত কবে থেকে স্কুলে আসা শুরু হবে, শিক্ষকদের কাছে এ দিন প্রশ্ন করে তৃতীয়, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির বহু পড়ুয়া। সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মজুমদার মিত্র হলে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে একটি করে পেন দিচ্ছিলেন। জয়তী বলেন, ‘‘এত দিন পরে মেয়েদের সামনে থেকে দেখে খুব ভাল লাগছে। বহু অভিভাবক জানতে চাইছিলেন, কবে থেকে ওরা স্কুলে আসতে পারবে?’’

গল্পই শেষ হচ্ছিল না স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির অয়ন, দেবরাজ, সায়নদের। ওরা জানাল, এত দিন মা-বাবার স্মার্ট ফোন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইনে গল্প হয়েছে। কিন্তু বন্ধুকে ছুঁয়ে দেখা, ধাক্কা মারার আনন্দটাই হচ্ছিল না। পরীক্ষার আগের মুহূর্তে যে এত আনন্দ হয়, তা শৈলেন্দ্রনাথ সরকার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির অঙ্কন আর রাজদীপকে না দেখলে বোঝা যেত না। হলে ঢোকার আগে এক প্রস্ত খেলে নিল দু’জনেই। খেলতে খেলতে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরা আর দুষ্টুমিও চলছিল।

Advertisement

ন্যাস পরীক্ষার আয়োজক সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন। কোভিড পরিস্থিতিতে সারা বছর পড়াশোনা কেমন করেছে পড়ুয়ারা, তা দেখতে এই পরীক্ষা। যদিও দেখা গেল, পরীক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই অনেক অভিভাবকেরই। ক্যালকাটা গার্লস স্কুলের কয়েক জন অভিভাবক জানিয়েই দিলেন, পরীক্ষার বাহানায় অন্তত তাঁদের দেখাসাক্ষাৎ হল।

তবে সাবধানবাণী শোনাচ্ছেন এক প্রধান শিক্ষক। তিনি বলছেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, গত ফেব্রুয়ারিতেও নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলেছিল। কিন্তু ফের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement