Firhad Hakim

Joy Goswami: তৃণমূল মুখপত্রে মেয়র ফিরহাদ, মেয়র সুব্রতের প্রশংসায় জয় গোস্বামী, নাম নেই শোভনের

গত দশ বছরে পুরসভার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন তিনি। এই সব কাজের পিছনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব রয়েছে তাও তিনি উল্লেখ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:২১
Share:

ফাইল ছবি

বুধবারই প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের ‘ইস্তাহার’। যদিও দল একে ‘ইস্তাহার’ না বলে পরিষেবাকে কী ভাবে আরও নাগরিকমুখী করা যাবে, তার রূপরেখা বলেছে। ঠিক তার পরের দিনই তৃণমূলের মুখপত্রে কলম ধরলেন কবি জয় গোস্বামী। উত্তর সম্পাদকীয় স্তম্ভে মহানাগরিক হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের প্রশংসা করলেন তিনি।

সত্যজিৎ রায় শতবর্ষে স্মারক গ্রন্থ প্রকাশকে কেন্দ্র করে ফিরহাদের ভূমিকার উদাহরণ দেন তিনি। জয় লিখেছেন, ‘বইটি মুদ্রণের সময় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মহানাগরিকের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তা কেটেও যায়।’ কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের মেয়র পদপ্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। তাই দলের মুখপত্রে কবির প্রশংসা বাড়তি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ।

Advertisement

ফিরহাদের পাশাপাশি জয় গোস্বামী মহানাগরিক হিসাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন। এ ক্ষেত্রেও উদাহরণ দিয়ে প্রয়াত সুব্রত সম্পর্কে লিখেছেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই মহানগরীর ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের যত খোঁজখবর রাখতেন, ভূগর্ভস্থ কলকাতার হালহকিকত সম্পর্কে ততটাই ওয়াকিবহাল ছিলেন।

গত দশ বছরে পুরসভার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন তিনি। এই সব কাজের পিছনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব রয়েছে, তাও তিনি উল্লেখ করেন। এই দশ বছর সময়কালের মধ্যে কলকাতার পুরসভার মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সম্পর্কে একটি লাইনও লেখেনি কবি জয় গোস্বামী।

Advertisement

লেখায় বাম-জমানার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। জয় লেখেন, ‘সমাজের সর্বস্তরে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার নেশায় বুঁদ হয়ে দম্ভ আর আত্মতুষ্টির ফাঁদে পড়ে স্তাবকদের আনুগত্যকে সঠিক ভেবে নিয়ে ভুয়ো ভালতে গা ভাসিয়েছিলেন।’ তাঁর মতে তৃণমূলের, ‘কেউ আত্মতুষ্টিতে গা ভাসাননি। সেটাই আশার কথা।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement