টেনেহিঁচড়ে: নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভরত, এসএসসি-র কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সোমবার, বিধানসভার সামনে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। অন্য দিকে, সোমবার দুপুরে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরাও মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে বিধানসভা অভিযান করলেন। এই অভিযান ঘিরে এ দিন বিধানসভার সামনে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিধানসভার দু’নম্বর গেটের সামনে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে দেখা দেয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের ১২৮০ জন চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র পেলেও নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এর নিষ্পত্তি করার দাবি তোলেন তাঁরা। এ দিন শতাধিক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশ আটকালে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। চাকরিপ্রার্থী সোফিয়া খাতুনের অভিযোগ, ‘‘কয়েক জনকে ভ্যানে তুলতে গিয়ে মাটিতে ফেলে, বুকের উপরে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছে পুলিশ। মেয়েদের চুলের মুঠি ধরেছে। প্রায় ৬০ জনকে আটক করা হয়।’’ সন্ধ্যায় তাঁদের ছাড়া হয়।
উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদেরও অভিযোগ, বেঞ্চ বদলের পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের শুরু হয়েছে টালবাহানা। এক চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘৩০ জানুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে সরে গেলে ৩১ জানুয়ারি নতুন বেঞ্চে মামলা হয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী জানান, ওই মামলার ফাইল আসেনি। সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলার শুনানিতেও বিচারপতি জানান, সব ফাইল আসেনি। এখনও শুনানির দিন ধার্য হল না।’’ চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, ১০ বছর অপেক্ষা করছেন। মেধা তালিকা তৈরি, কাউন্সেলিং অনেকটা হয়ে গেলেও নিয়োগপত্রের চূড়ান্ত শুনানি কবে হবে? সুশান্ত জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও ২১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযান করবেন তাঁরা।
ওই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের আইনি দিক নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘এ নিয়ে আইনি পথে সব রকম সক্রিয়তার আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।”