Jnaneswari Express

জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে অমৃতাভর ডিএনএ নমুনা যাচ্ছে দিল্লি, উদ্ধার সেই ‘মৃতদেহের’ ছবিও

বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে অমৃতাভ ও তাঁর বাবা মিহির চৌধুরীর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। অমৃতাভর হাড়ের বয়স নির্ধারণ পরীক্ষাও হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২১ ১১:১৬
Share:

অমৃতাভ চৌধুরী ফাইল চিত্র

জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা-কাণ্ডে ধৃত অমৃতাভ চৌধুরীর ডিএনএ নমুনা পাঠানো হচ্ছে দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে অমৃতাভ ও তাঁর বাবা মিহিরের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। অমৃতাভর সঠিক বয়স জানতে অসিফিকেশন টেস্ট বা হাড়ের বয়স নির্ধারণ পরীক্ষাও হয়েছে। বয়স ও পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করতেই ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ধৃতের ডিএনএ টেস্ট করার জন্য সিবিআই-এর আবেদনে সম্মতি দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ২ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই সূত্রে খবর, অমৃতাভর ডিএনএ-র সঙ্গে তাঁর বাবা মিহিরের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

আসলে জ্ঞানেশ্বরী প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছে সিবিআই। সেই তদন্তের প্রথম ধাপই হল ডিএনএ রিপোর্ট। যার ভিত্তিতে ‘মৃত’ বলে দেখানো যাত্রীর পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছিল এবং তাঁর বোন পেয়েছিলেন রেলের চাকরি। ধৃত ব্যক্তি সত্যিই অমৃতাভ চৌধুরী নাকি জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনায় অমৃতাভর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করতেই এই ডিএনএ টেস্ট।

২০১০ সালের ২৮ মে ঝাড়গ্রামের রাজাবাঁধ এলাকায় মালগাড়ির সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল অন্তর্ঘাতের। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এককালীন চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক জনকে রেলে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অমৃতাভ জানিয়েছেন, ওই ট্রেনে তিনি মুম্বই যাচ্ছিলেন। মৃতের তালিকায় তাঁর নাম উঠেছিল। সঠিক তথ্য না-দিয়ে তিনি বোনের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন কেন? অমৃতাভ বা তাঁর বাবা মিহির এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।

Advertisement

তদন্তকারীদের কথায়, মৃতের পরিবর্তে তাঁর স্বজনের চাকরির ক্ষেত্রে মৃত্যুর শংসাপত্র, ডিএনএ রিপোর্ট, মৃতের জীবিতাবস্থার ছবি এবং মৃতদেহের ছবি প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্ষতিপূরণ ও অমৃতাভর বোন মহুয়ার চাকরির ক্ষেত্রে অমৃতাভের জীবিতাবস্থা ও তাঁর ‘মৃতদেহের’ যে-ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা মিহিরবাবুর জোড়াবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জীবিত ও মৃতের ছবির সঙ্গে গরমিল ধরা পড়েছে। মৃতদেহের ছবিটি আসল কোনও ব্যক্তির না কম্পিউটারে কারিকুরি করে বানানো হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। এ-ও দেখা হচ্ছে, মৃতদেহের ছবিটি সত্যি হলে তা কোন ব্যক্তির। ওই ছবির দু’টির ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement