আইভারমেক্টিন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কতটা কাটাতে পারছে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রথম পর্বে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছিল আইভারমেক্টিন। কিন্তু অতিমারির দ্বিতীয় পর্বে ওই ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা হয়। যদিও ওই ওষুধ আদৌ করোনা রোগীর চিকিৎসায় কোনও সহযোগিতা করছে কি না, তা জানতে সাড়ে চার হাজার রোগীর উপরে গবেষণা করেছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। সম্প্রতি সেই গবেষণাপত্র বেরিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব রেসপিরেটরি মেডিসিন’-এ।
২০২০ সালের অগস্ট থেকে ২০২১-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইডি-তে চিকিৎসাধীন মৃদু ও মাঝারি উপসর্গে আক্রান্ত ৪,৫৫২ জনের উপরে গবেষণাটি হয়। যেখানে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, আইভারমেক্টিন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কতটা কাটাতে পারছে। গবেষণার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন ফার্মাকোলজির শিক্ষক-চিকিৎসক কৌশিক মিশ্র। এ ছাড়াও আইডি-র তৎকালীন উপাধ্যক্ষ-চিকিৎসক আশিস মান্না, বক্ষরোগ চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরী, সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় ও হৃদ্রোগ চিকিৎসক রামমোহন রায় যুক্ত ছিলেন। জানা যাচ্ছে, ৩,৪৬২ জনকে করোনার অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি আইভারমেক্টিনও দেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, শরীরের অক্সিজেন কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্বাসের গতি বৃদ্ধি পেলেও তা কমছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে আইভারমেক্টিনকে খারিজ করে পাশ্চাত্যের দেশগুলি। দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ‘আইসিএমআর’-এর বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল, করোনার বিরুদ্ধে ওই ওষুধ উপযোগী, এমন প্রমাণ মেলেনি। চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরীর কথায়, “কোভিডে ওই ওষুধ কতটা প্রভাব ফেলছে, তা নিশ্চিত ভাবে বলতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে গবেষণা থেকে এটা বলা যাচ্ছে, সস্তার ওই ওষুধে বিরূপ কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।”