—ফাইল চিত্র।
ময়না-তদন্তের পরে দেহ হস্তান্তর করার সময়ে মৃতের পরিজনদের থেকে মোটা টাকা দাবি করা হয়। শহর তথা রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ মর্গ নিয়ে প্রায়ই এমন অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগের ভিডিয়ো (যদিও সেটির সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন, তাঁদের কাছ থেকে ডোমেরা দু’হাজার টাকা দাবি করেছেন। দরাদরির পরে রফা হয়েছে ১২০০ টাকায়। আর এক দলের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে ১৩০০ টাকা চাওয়া হলেও শেষে ৮০০ টাকায় দেহ ছাড়তে রাজি হন ডোমেরা। অন্য এক মৃতের পরিজনের আবার দাবি, তাঁদের থেকে ৮০০ টাকা চাওয়া হয়েছে। তাঁরা শেষ পর্যন্ত ৫০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছেন।
এমন অভিযোগ যখন মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করা হচ্ছে, তখনই মর্গের ভিতর থেকে কয়েক জন ডোম বাইরে আসছিলেন। কিন্তু বাইরের লোকজনকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে দেখে তাঁরা ফের ভিতরে ঢুকে কোল্যাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এর পরে কয়েক জন দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরেই মর্গকে কেন্দ্র করে এমন অভিযোগ উঠছে। তাই তাঁরা এ বার ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করলেন।
ঘটনার অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ওই ভিডিয়োয় টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল পুরপ্রতিনিধির অনুগামী বলে পরিচিত কয়েক জনকে। কেন মৃতের পরিজনদের থেকে টাকা চাওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে ডোমেদের সঙ্গে মৃতের পরিজনদের নিয়মিত বচসা হয় বলেও জানান তাঁরা। শেষে ওই অনুগামীরা এমন ঘটনা বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পরে দেখা যায়, ওই সমস্ত পরিবারকে ন্যায্য মূল্যে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন শাসক দলের পুরপ্রতিনিধির অনুগামীরা।
শনিবার তোলা এই ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। অন্দরের খবর, বিষয়টি শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে আসতেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।