যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো নিয়ে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলেও, সেগুলি কোথায় লাগানো হবে, তা নিয়ে মতান্তর দেখা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে। শনিবার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানালেন, ছাত্রদের আবদার মেনে নেওয়া হবে না। উপাচার্যের এই মন্তব্যের পর কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে সংঘাতের নয়া ক্ষেত্র তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার উপাচার্য বলেন, “সিসিটিভি কোন জায়গায় বসবে, তা যাঁরা লাগাবেন এবং নিরাপত্তা আধিকারিকেরা ঠিক করবেন।’’ ছাত্রদের আবদার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এই ধরনের আবদার করলে কাজ করা মুশকিল।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “কাজ তো করতেই হবে, তাই আবদার মানা হবে না।” সিসিটিভি কবে লাগানো হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা যত দ্রুত সম্ভব, কাজ করবে বলেছে। এ ভাবে সময় বেঁধে দেওয়া যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্টেক হোল্ডার’ (অংশীদার)-দের বৈঠকের পর এই পড়ুয়ারা দাবি তুলেছিলেন যে, কোথায় সেই ক্যামেরা বসানো হবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে পড়ুয়াদের জানাতে হবে। তাঁদের আরও দাবি ছিল, সিসিটিভির ফুটেজে কারা নজরদারি চালাবেন, তা-ও জানাতে হবে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু শুক্রবার জানিয়েছিলেন, সব পক্ষের লিখিত মতামত পড়ার পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন উপাচার্য।
৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যায় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়ের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। এ নিয়ে শুক্রবার ‘অংশীদার’দের নিয়ে বৈঠকে বসেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে ছাত্র, শিক্ষক সংগঠন, গবেষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরা নিয়ে ইউজিসির যে নির্দেশিকা, তা সকলেই মানতে চায়। কোনও বাধা নেই। কোথায় বসবে সিসি ক্যামেরা, তা নিয়ে ছাত্রদের কিছু প্রশ্ন রয়েছে।’’ অন্য দিকে, হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে শনিবার সকালে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা তদন্ত করার পুলিশই করবে। তাঁকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার।