ঐতিহাসিক: শুরু হয়েছে জালিয়ানওয়ালাবাগ-হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রদর্শনী। সোমবার, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
স্মৃতিসৌধের ইতিহাসের সরণিতে একটি উল্লেখযোগ্য ফলক হতে যাচ্ছে এই প্রদর্শনী, তা আগেই জানিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। কারণ, ব্রিটিশ রাজত্বের সাফল্য-চিহ্ন ধরে রাখা এবং তা প্রদর্শনের জন্যেই এক সময়ে যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হয়েছিল, সেখানে সেই রাজত্বেই হওয়া বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম নির্মম গণহত্যার উপরে ভিত্তি করে তৈরি শিল্পের প্রদর্শন উল্লেখযোগ্য ঘটনা তো বটেই। সেই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হল সোমবার।
এ দিন প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভিক্টোরিয়ার ‘বোর্ড অব ট্রাস্টি’-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই প্রদর্শনী দেখার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখেন। কারণ তাঁর মতে, এই প্রদর্শনী দেশের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদে অনুপ্রাণিত হতেও উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি আরও জানান, দেশকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখা উচিত এবং নিজেদের চিন্তা ও কাজ থেকে হিংসাকে বর্জন করা উচিত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত গুরুবক্স সিংহও।
‘ওয়েজ় অব রিমেমবারিং জালিয়ানওয়ালাবাগ অ্যান্ড রবীন্দ্রনাথ টেগোর’স রেসপন্স’ নামে এই ‘ইনস্টলেশন আর্ট’-এর কিউরেটর-গবেষক শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত বলেন, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ নিয়ে যাতে অনেকে নতুন করে ভাবেন, অডিয়ো-ভিডিয়ো রেকর্ডিং দেখে যাতে অনেকে সেই সময়কে অনুভব করতে পারেন, তাই এই প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করেছিলাম গত তিন বছর ধরে।’’ প্রদর্শনী নিখুঁত ও তথ্যসমৃদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে শর্মিষ্ঠাদেবী ও এই প্রদর্শনীর শিল্প-নির্দেশক সঞ্চয়ন ঘোষ গত বছরের জুলাইয়ে অমৃতসর গিয়েছিলেন। শহিদদের পরিবারের পাশাপাশি ১৯১৯ সালের ওই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের বর্তমান সদস্যের সঙ্গেও কথা বলেন।