জামিনের পরেও তিন মাস জেলেই আটকে বন্দি

আদালত জামিন দিলেও অভিযুক্তকে জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। প্রশান্তবাবু জানান, সুলতানের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের মুলুন্দ থানায় দু’টি পৃথক মামলা ঝুলছে। একটি চুরির, অন্যটি প্রতারণার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০২:০৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত

আদালত তিন মাস আগে জামিন দিলেও প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এক বন্দি ছাড়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারকের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে। কী কারণে ওই অভিযুক্তকে এখনও ছাড়া হয়নি, সে ব্যাপারে বিচারক প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। ১৬ জুলাই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার কথা।

Advertisement

জেলে বন্দি সুলতান খানের আইনজীবী প্রশান্ত মজুমদার শনিবার জানান, তাঁর মক্কেল মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি শহরের ইরানি কলোনির বাসিন্দা। এটিএম কার্ড জালিয়াতি করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার অভিযোগে মাস ছ’য়েক আগে সুলতানকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তিন মাস আগে ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে জামিনও দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দু’টি মামলাতেই জামিন পান সুলতান।

আদালত জামিন দিলেও অভিযুক্তকে জেল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। প্রশান্তবাবু জানান, সুলতানের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের মুলুন্দ থানায় দু’টি পৃথক মামলা ঝুলছে। একটি চুরির, অন্যটি প্রতারণার। সেখানকার আদালতে সুলতানকে হাজির করানোর জন্য প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দিয়েছেন মুম্বই আদালতের সংশ্লিষ্ট বিচারকেরা। তা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সুলতানকে মুম্বই ও মধ্যপ্রদেশের আদালতে হাজির করাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন।

Advertisement

ওই আইনজীবীর দাবি, জামিন পাওয়া কোনও অভিযুক্তকে জেল থেকে না ছাড়া তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব করার শামিল। লালবাজারের দায়ের করা মামলায় জামিনের শর্ত পূরণ করেছেন সুলতান। আইনজীবী বলেন, ‘‘সুলতান কেন ছাড়া পাচ্ছেন না, তা জানার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমাকে জানানো হয়, ট্রেনের টিকিট মিলছে না। তা ছাড়া, কলকাতা পুলিশের সহযোগিতাও মিলছে না।’’

এ নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে ওই অভিযুক্তের পক্ষ থেকে। সোমবার দায়ের করা ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সুলতানকে না ছাড়ায় শো-কজ করা হোক রাজ্যের কারা বিভাগের আইজি অথবা প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে। যাতে তাঁরা কারণ জানাতে পারেন।

কিন্তু কেন ছাড়া হচ্ছে না ওই বন্দিকে? প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার সুপ্রকাশ রায়ের সাফ জবাব, ‘‘এ বিষয়ে কিছু বলব না। যা জানানোর আদালতে জানাব।’’

কারা বিভাগের এক কর্তাও জানান, আদালত রিপোর্ট তলব করছে। যা জানানোর জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে রিপোর্ট দিয়েই জানাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement