প্রতীকী ছবি।
বন্দর এলাকায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে বিশেষ ভাবে তৎপর হচ্ছে রাজ্য। কলকাতা বন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় ভারী গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সোমবার কসবার পরিবহণ ভবনে এ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং বন্দরের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন পরিবহণমন্ত্রীও।
বন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় দিনরাত ট্রেলারের ভিড় লেগেই থাকে। সন্ধ্যা হলে সেগুলির সংখ্যা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যায়। কন্টেনার বহনকারী ট্রেলার বন্দরে জিনিস পৌঁছে দেয়। আবার জাহাজে আসা পণ্যও ওই সব ট্রেলারের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছয়। প্রতিদিন হাজারের কাছাকাছি মাল বহনকারী ওই সব ভারী গাড়ি বন্দর সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে তীব্র যানজট ছাড়াও দুর্ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই বন্দরে ট্রেলারের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চায় রাজ্য। সে জন্য কোন ট্রেলার কখন বন্দর এলাকায় ঢুকবে, তার আগাম সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতা মেট্রোর ই-পাসের মতোই বিশেষ পাস চালুর কথা ভাবা হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট ডকের কোন বার্থে ওই ট্রেলার যেতে চায়, তা আগাম জানাতে হবে। তার ভিত্তিতেই সেখানে ওই সময়ে গাড়ির সম্ভাব্য চাপ হিসাব করে অনুমতি দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় ‘রো রো’ (রোল অন রোল ওভার) পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তার সমীক্ষা দ্রুত শুরু হবে বলেও জানান ফিরহাদ। গঙ্গার পশ্চিমের শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই ‘রো রো’ বা অতিকায় বার্জ চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। অতিকায় ট্রেলার দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে কলকাতায় না এসে শালিমার থেকে ‘রো রো’ ব্যবহার করে নদী পেরিয়ে আসবে। এক-একটি ‘রো রো’ অনেক ট্রেলার বহনে সক্ষম। ফলে শহরের রাস্তার যানজট ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপরে চাপ কমবে। সে জন্য ড্রোন ব্যবহার করে বিশেষ লাইডার সমীক্ষা হবে। সমীক্ষায় শালিমার ও গার্ডেনরিচে রাস্তা তৈরির সম্ভাব্য পরিসর চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়েছে।